ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫০ হাজার সেনা জড়ো করেছে রাশিয়াঃ জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:২০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / ২৫ Time View

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়া ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন দাবি করেন জেলেনস্কি। বুধবার (২৮ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এমন এক সময়ে ইউক্রেনে গ্রীষ্মকালীন হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যখন কিয়েভ যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কোর শর্তাবলীর একটি স্মারকলিপি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের প্রধান শহরটি রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) এরও কম দূরে অবস্থিত। ইউক্রেনীয় বাহিনী গত বছর রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশের জন্য সুমি অঞ্চলকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
গত মাসে কুরস্কে রাশিয়ান বাহিনী কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত হওয়ার আগে ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কের বিশাল এলাকা দখল করেছিল। যদিও ইউক্রেনের দাবি, সেখানে এখনো কিছু ছোট এলাকা তাদের দখলে রয়েছে।

জেলেনস্কি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “রাশিয়ার বৃহত্তম ও শক্তিশালী বাহিনী বর্তমানে কুরস্ক ফ্রন্টে রয়েছে। আমাদের সৈন্যদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং সুমি অঞ্চলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।”

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি ‘বাফার জোন’ চান। তবে মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া সুমি সীমান্তের প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) ভেতরে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের একটি বড় এলাকা দখল করতে চায়।

রাশিয়া গতকাল মঙ্গলবার সুমি অঞ্চলের কমপক্ষে চারটি সীমান্ত গ্রাম দখল করেছে। সুমির গভর্নর ওলেহ হ্রাইহোরভ ফেসবুকে লিখেছেন, নোভেনকে, বাসিভকা, ভেসেলিভকা এবং ঝুরাভকা গ্রাম রাশিয়া দখল করেছে, যদিও বাসিন্দাদের অনেক আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়াও রাশিয়ান বাহিনী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পূর্ব ইউক্রেনের কোস্টিয়ানটিনিভকা শহরের কাছে ফ্রন্টলাইনের কিছু অংশে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, তাদের বাহিনী গত দুই দিনে ওই এলাকায় রুশ বাহিনীকে ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পিছু হঠতে বাধ্য করেছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি জানান, তার সরকার যেকোনো ধরনের শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তিনি প্রত্যাশা করেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে পরবর্তী আলোচনাটি প্রযুক্তিগত স্তরে হবে।

জেলেনস্কি উল্লেখ করেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

৫০ হাজার সেনা জড়ো করেছে রাশিয়াঃ জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:২০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়া ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন দাবি করেন জেলেনস্কি। বুধবার (২৮ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এমন এক সময়ে ইউক্রেনে গ্রীষ্মকালীন হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যখন কিয়েভ যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কোর শর্তাবলীর একটি স্মারকলিপি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের প্রধান শহরটি রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) এরও কম দূরে অবস্থিত। ইউক্রেনীয় বাহিনী গত বছর রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশের জন্য সুমি অঞ্চলকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
গত মাসে কুরস্কে রাশিয়ান বাহিনী কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত হওয়ার আগে ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কের বিশাল এলাকা দখল করেছিল। যদিও ইউক্রেনের দাবি, সেখানে এখনো কিছু ছোট এলাকা তাদের দখলে রয়েছে।

জেলেনস্কি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “রাশিয়ার বৃহত্তম ও শক্তিশালী বাহিনী বর্তমানে কুরস্ক ফ্রন্টে রয়েছে। আমাদের সৈন্যদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং সুমি অঞ্চলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।”

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি ‘বাফার জোন’ চান। তবে মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া সুমি সীমান্তের প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) ভেতরে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের একটি বড় এলাকা দখল করতে চায়।

রাশিয়া গতকাল মঙ্গলবার সুমি অঞ্চলের কমপক্ষে চারটি সীমান্ত গ্রাম দখল করেছে। সুমির গভর্নর ওলেহ হ্রাইহোরভ ফেসবুকে লিখেছেন, নোভেনকে, বাসিভকা, ভেসেলিভকা এবং ঝুরাভকা গ্রাম রাশিয়া দখল করেছে, যদিও বাসিন্দাদের অনেক আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়াও রাশিয়ান বাহিনী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পূর্ব ইউক্রেনের কোস্টিয়ানটিনিভকা শহরের কাছে ফ্রন্টলাইনের কিছু অংশে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, তাদের বাহিনী গত দুই দিনে ওই এলাকায় রুশ বাহিনীকে ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পিছু হঠতে বাধ্য করেছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি জানান, তার সরকার যেকোনো ধরনের শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তিনি প্রত্যাশা করেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে পরবর্তী আলোচনাটি প্রযুক্তিগত স্তরে হবে।

জেলেনস্কি উল্লেখ করেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।