ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ দিনে তিন মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাংবাদিককে

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৭:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৭৯ Time View

জুলাইয়ের ১০ তারিখে রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সাড়ে নটা মধ্যে বোয়ালিয়া থানার শিরোইল কাঁচা বাজার এলাকায় তিনটি ধর্তব্য অপরাধের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ একবারও আসেনি। এরমধ্যে দুইটি চাঁদাবাজির ঘটনা এবং একটি যৌন হয়রানীর ঘটনা।

গত ১৬ জুলাই লিজার বান্ধবী বেলী বেগম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় আরো একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন। এ নিয়ে সাংবাদিক সুজা উদ্দিন ছোটনের বিরুদ্ধে দুইটি চাঁদাবাজি ও একটি যৌন হয়রানি সংক্রান্ত মামলার রুজু হলো রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় গত চারদিনে।

তিনটি ঘটনাতেই বোয়ালিয়া থানায় পৃথক পৃথকভাবে মামলার অজু করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলা দুটি করা হয়েছে রেকর্ড ১১ তারিখে আরেকটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ তারিখে। কোনো মামলা রেকর্ড এর পূর্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে একবারও যায়নি। এমনকি মামলা রেকর্ডের পরেও পরিদর্শন করেনি কেবলমাত্র রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটনকে ফাসানোর জন্য পুলিশ পরিকল্পিতভাবে ১০ জুলাই রাত সাড়ে আটটায় চাঁদাবাজি মামলা এবং রাত সাড়ে নয়টায় নারী নির্যাতন অর্থাৎ যৌন হয়রানির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করেছে।

আলোচিত এই দুই মামলার মধ্যে চাঁদাবাজির মামলার বাদী নগরীর কুখ্যাত সুদ কারবারি, একাধিক চাঁদাবাজি ও সাইবার ক্রাইম অপরাধ মামলার আসামি আয়েশা আক্তার লিজা এবং অপর মামলাটির বাদী সাংবাদিক পরিচয় দানকারী তাজমিরা তাবাসসুম নামের এক নারী। আলোচিত এই দুই নারীর মামলার আসামি হচ্ছেন এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন।

এদিকে নগরী চিহ্নিত সুদ কারবারি আয়েশা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে সাবেক একজন সংসদ সদস্যকে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার আরো অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সুদের টাকা খাটিয়ে সাদা স্ট্যাম্প ও ব্ল্যাংক চেকের খপ্পরে ফেলে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই দুর্বৃত্ত। টাকা না পেলে আদালতে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। অন্তত ৩০ জন ব্যক্তি লিজার কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে মামলার আসামি হয়ে এখন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন।

 

এদিকে তাসমিরা তাবাসসুম যৌন হারানির মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতবছর এই নারীর দায়ের করা যৌন নিপীড়ন মামলায় আরো কয়েকজন সাংবাদিক আসামী হিসেবে এখনো আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। তাসমিরা তাবাসসুমের বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার ভদ্রা জামালপুর এলাকায়। চন্দ্রিমা থানার সাবেক ওসি মাহবুব আলমের সাথে এই নারীর বিশেষ সম্পর্ক থাকায় তাদের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল এই ওসির। ‘খাম কাণ্ডের’ মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের পর চন্দ্রীমা থানার ওসি মাহবুব আলমকে প্রত্যাহার করে আর এমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার পর ওসি মাহবুব তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আয়েশা আক্তার লিজা ও তাজমিরা তাবাসুমকে মাঠে নামান এবং খামে করে ঘুষের টাকা লেনদেনের ভিডিও চিত্র ধারণ ও তা মিডিয়ায় প্রচার করার কারণে সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলা করার ষড়যন্ত্র করেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবিরকে বিশেষভাবে ম্যানেজ করে সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইটি মামলা দায়ের করায়। সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে কথিত নারী তাসমিরা তাবাসসুম অভিযোগ করার আগেই সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন তাসমিরার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করার জন্য থানায় গেলেও ওসি তাসমিরার মামলা গ্রহণের ব্যাপারে তৎপর থাকেন।

কথিত যৌন হয়রানীর অভিযোগকারীর ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে শিরোইল কাচা বাজারের পূবালী মার্কেটের দোতলা। ওই স্থানটিতে আরএমপির সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং প্রকাশ্য জনসমক্ষে যৌন হয়রানি করা অসম্ভব ব্যাপার হিসেবে বোয়ালিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তিনি তা আমলে নেননি। মিথ্যা মামলা দায়ের করার এই ষড়যন্ত্রের সাথে দুর্জয় খান নামের আর একজন কথিত সাংবাদিক রয়েছে। এই দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চাঁদাবাজি ও হত্যার চেষ্টাসহ আরো অভিযোগ রয়েছে। বিয়ে না করেই একাধিক নারীর সাথে বিভিন্ন সময়ে তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

৪ দিনে তিন মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাংবাদিককে

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৭:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

জুলাইয়ের ১০ তারিখে রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সাড়ে নটা মধ্যে বোয়ালিয়া থানার শিরোইল কাঁচা বাজার এলাকায় তিনটি ধর্তব্য অপরাধের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ একবারও আসেনি। এরমধ্যে দুইটি চাঁদাবাজির ঘটনা এবং একটি যৌন হয়রানীর ঘটনা।

গত ১৬ জুলাই লিজার বান্ধবী বেলী বেগম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় আরো একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন। এ নিয়ে সাংবাদিক সুজা উদ্দিন ছোটনের বিরুদ্ধে দুইটি চাঁদাবাজি ও একটি যৌন হয়রানি সংক্রান্ত মামলার রুজু হলো রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় গত চারদিনে।

তিনটি ঘটনাতেই বোয়ালিয়া থানায় পৃথক পৃথকভাবে মামলার অজু করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মামলা দুটি করা হয়েছে রেকর্ড ১১ তারিখে আরেকটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ তারিখে। কোনো মামলা রেকর্ড এর পূর্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে একবারও যায়নি। এমনকি মামলা রেকর্ডের পরেও পরিদর্শন করেনি কেবলমাত্র রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটনকে ফাসানোর জন্য পুলিশ পরিকল্পিতভাবে ১০ জুলাই রাত সাড়ে আটটায় চাঁদাবাজি মামলা এবং রাত সাড়ে নয়টায় নারী নির্যাতন অর্থাৎ যৌন হয়রানির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করেছে।

আলোচিত এই দুই মামলার মধ্যে চাঁদাবাজির মামলার বাদী নগরীর কুখ্যাত সুদ কারবারি, একাধিক চাঁদাবাজি ও সাইবার ক্রাইম অপরাধ মামলার আসামি আয়েশা আক্তার লিজা এবং অপর মামলাটির বাদী সাংবাদিক পরিচয় দানকারী তাজমিরা তাবাসসুম নামের এক নারী। আলোচিত এই দুই নারীর মামলার আসামি হচ্ছেন এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন।

এদিকে নগরী চিহ্নিত সুদ কারবারি আয়েশা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে সাবেক একজন সংসদ সদস্যকে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার আরো অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সুদের টাকা খাটিয়ে সাদা স্ট্যাম্প ও ব্ল্যাংক চেকের খপ্পরে ফেলে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই দুর্বৃত্ত। টাকা না পেলে আদালতে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। অন্তত ৩০ জন ব্যক্তি লিজার কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে মামলার আসামি হয়ে এখন আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন।

 

এদিকে তাসমিরা তাবাসসুম যৌন হারানির মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতবছর এই নারীর দায়ের করা যৌন নিপীড়ন মামলায় আরো কয়েকজন সাংবাদিক আসামী হিসেবে এখনো আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। তাসমিরা তাবাসসুমের বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার ভদ্রা জামালপুর এলাকায়। চন্দ্রিমা থানার সাবেক ওসি মাহবুব আলমের সাথে এই নারীর বিশেষ সম্পর্ক থাকায় তাদের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল এই ওসির। ‘খাম কাণ্ডের’ মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের পর চন্দ্রীমা থানার ওসি মাহবুব আলমকে প্রত্যাহার করে আর এমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার পর ওসি মাহবুব তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আয়েশা আক্তার লিজা ও তাজমিরা তাবাসুমকে মাঠে নামান এবং খামে করে ঘুষের টাকা লেনদেনের ভিডিও চিত্র ধারণ ও তা মিডিয়ায় প্রচার করার কারণে সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলা করার ষড়যন্ত্র করেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবিরকে বিশেষভাবে ম্যানেজ করে সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইটি মামলা দায়ের করায়। সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে কথিত নারী তাসমিরা তাবাসসুম অভিযোগ করার আগেই সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন তাসমিরার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করার জন্য থানায় গেলেও ওসি তাসমিরার মামলা গ্রহণের ব্যাপারে তৎপর থাকেন।

কথিত যৌন হয়রানীর অভিযোগকারীর ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে শিরোইল কাচা বাজারের পূবালী মার্কেটের দোতলা। ওই স্থানটিতে আরএমপির সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং প্রকাশ্য জনসমক্ষে যৌন হয়রানি করা অসম্ভব ব্যাপার হিসেবে বোয়ালিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তিনি তা আমলে নেননি। মিথ্যা মামলা দায়ের করার এই ষড়যন্ত্রের সাথে দুর্জয় খান নামের আর একজন কথিত সাংবাদিক রয়েছে। এই দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চাঁদাবাজি ও হত্যার চেষ্টাসহ আরো অভিযোগ রয়েছে। বিয়ে না করেই একাধিক নারীর সাথে বিভিন্ন সময়ে তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।