ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ

৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩১ Time View

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাসহ নানা ঘটনা মন্থর করেছে বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে। দেশেও পরিবহন ধর্মঘট, কাস্টমসের কলমবিরতি এবং শাটডাউনের মতো ঘটনায় ব্যাহত হতে দেখা যায় দেশের প্রধানতম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের কার্যক্রম। তার পরও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহযোগিতায় তেমন প্রভাবই পড়েনি বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে। উল্টো বেড়েছে কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা। রপ্তানি আয়েও অর্জন হয়েছে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের প্রধানতম এই সমুদ্রবন্দর রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বমোট ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ হাজার ৩১টি, যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও ৯ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তথ্য বলছে, বন্দরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য টার্মিনাল এনসিটি, যা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড (সিডিডিএল) পরিচালিত। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৯ টিইইউস কনটেইনার সেখানে হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ হাজার ৭৫৪ টিইইউস বেশি। এই সময়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১৩.৮৮% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এনসিটিতে মোট জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৭৮টি, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬টি বেশি। জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের বিপরীতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এনসিটিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের কনটেইনার ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ এবং প্রবৃদ্ধি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে বিগত তিন মাসে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে সামগ্রিকভাবে কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বমোট ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। একইভাবে বিগত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়েও হয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। সে সময়ে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ হাজার ৩১টি। বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ২২ শতাংশ।

পঞ্জিকাবর্ষ হিসেবেও চট্টগ্রাম বন্দরের সব অর্জন ইতিবাচক সূচকে রয়েছে। ২০২৫-২৬ পঞ্জিকাবর্ষে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মোট ৯ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বমোট ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৬২৫ টিইইউস বেশি। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। একইভাবে বিগত ৯ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়েও হয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। সেই সময়ে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ২৫৯ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ১৬১টি। সেই হিসাবে বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ইত্যাদি কারণ বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে মন্থর করেছে। পাশাপাশি পরিবহন ধর্মঘট, কাস্টমসের কলমবিরতি এবং শাটডাউনের মতো ঘটনায় বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তার পরও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের একান্ত সহযোগিতায় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বরং কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নতুন নতুন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ও ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সব স্টেকহোল্ডারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এমন সাফল্যের জন্য দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। আশা করা যায়, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ

৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাসহ নানা ঘটনা মন্থর করেছে বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে। দেশেও পরিবহন ধর্মঘট, কাস্টমসের কলমবিরতি এবং শাটডাউনের মতো ঘটনায় ব্যাহত হতে দেখা যায় দেশের প্রধানতম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের কার্যক্রম। তার পরও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহযোগিতায় তেমন প্রভাবই পড়েনি বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে। উল্টো বেড়েছে কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা। রপ্তানি আয়েও অর্জন হয়েছে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের প্রধানতম এই সমুদ্রবন্দর রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে ৪৮ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বমোট ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ হাজার ৩১টি, যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও ৯ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তথ্য বলছে, বন্দরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য টার্মিনাল এনসিটি, যা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড (সিডিডিএল) পরিচালিত। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৯ টিইইউস কনটেইনার সেখানে হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ হাজার ৭৫৪ টিইইউস বেশি। এই সময়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১৩.৮৮% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এনসিটিতে মোট জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৭৮টি, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬টি বেশি। জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের বিপরীতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এনসিটিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের কনটেইনার ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ এবং প্রবৃদ্ধি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে বিগত তিন মাসে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে সামগ্রিকভাবে কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বমোট ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। একইভাবে বিগত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়েও হয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। সে সময়ে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ হাজার ৩১টি। বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ২২ শতাংশ।

পঞ্জিকাবর্ষ হিসেবেও চট্টগ্রাম বন্দরের সব অর্জন ইতিবাচক সূচকে রয়েছে। ২০২৫-২৬ পঞ্জিকাবর্ষে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মোট ৯ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বমোট ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৬২৫ টিইইউস বেশি। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। একইভাবে বিগত ৯ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়েও হয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। সেই সময়ে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ২৫৯ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ১৬১টি। সেই হিসাবে বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ইত্যাদি কারণ বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে মন্থর করেছে। পাশাপাশি পরিবহন ধর্মঘট, কাস্টমসের কলমবিরতি এবং শাটডাউনের মতো ঘটনায় বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তার পরও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের একান্ত সহযোগিতায় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বরং কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নতুন নতুন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ও ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সব স্টেকহোল্ডারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এমন সাফল্যের জন্য দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। আশা করা যায়, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।