ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারে গণঅধিকার পরিষদ: রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৮ Time View

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি গণঅধিকার পরিষদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৫০টি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। শিগগিরই আরও ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জানানো হবে। এছাড়া, এখন পর্যন্ত কোনও দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনি জোট হয়নি বলেও জানান রাশেদ খান।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান। এতে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই সদস্যের প্রতিনিধি।

রাশেদ জানান, তার দলের কার্যক্রম নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচনি পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিকে সরকার এখনও মনোযোগ দেয়নি। আর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, সরকার এ ঘটনার বিচার করতে না পারলে নির্বাচনি পরিবেশ কীভাবে তৈরি করবে?

রাশেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আমরা আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই। তাদের আন্তরিকতা আছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের তো নিজস্ব জনবল নেই। পুলিশ-প্রশাসন ও সব সেক্টরে এখনও আওয়ামী দোসররা বহাল তবিয়তে। তাদের সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে দলগুলো মোটামুটি ঐক্যমতে এসেছে। একইদিনে জাতীয় নির্বাচন এবং জুলাই সনদের পক্ষে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমতে এসেছে। আমরা আশাবাদী শিগগিরই পুরোপুরি একমতে আসতে পারবো। নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যমতে আসার কোনও বিকল্প নেই।’

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তুতি, দলের আর্থিক সিস্টেম, নির্বাচনি পরিবেশ, নির্বাচনি জোট, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে দলীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফারুক হাসান, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, খালিদ হোসাইন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস গাজী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারে গণঅধিকার পরিষদ: রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১১:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি গণঅধিকার পরিষদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৫০টি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। শিগগিরই আরও ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে জানানো হবে। এছাড়া, এখন পর্যন্ত কোনও দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনি জোট হয়নি বলেও জানান রাশেদ খান।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান। এতে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই সদস্যের প্রতিনিধি।

রাশেদ জানান, তার দলের কার্যক্রম নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচনি পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিকে সরকার এখনও মনোযোগ দেয়নি। আর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, সরকার এ ঘটনার বিচার করতে না পারলে নির্বাচনি পরিবেশ কীভাবে তৈরি করবে?

রাশেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আমরা আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই। তাদের আন্তরিকতা আছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের তো নিজস্ব জনবল নেই। পুলিশ-প্রশাসন ও সব সেক্টরে এখনও আওয়ামী দোসররা বহাল তবিয়তে। তাদের সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে দলগুলো মোটামুটি ঐক্যমতে এসেছে। একইদিনে জাতীয় নির্বাচন এবং জুলাই সনদের পক্ষে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমতে এসেছে। আমরা আশাবাদী শিগগিরই পুরোপুরি একমতে আসতে পারবো। নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যমতে আসার কোনও বিকল্প নেই।’

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তুতি, দলের আর্থিক সিস্টেম, নির্বাচনি পরিবেশ, নির্বাচনি জোট, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে দলীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ফারুক হাসান, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, খালিদ হোসাইন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস গাজী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া প্রমুখ।