২ আসন থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন হিরো আলম
- Update Time : ১২:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৯ Time View
বিনোদন জগতের আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।
বিশ্বাসযোগ্য সূত্র জানায়, হিরো আলম এবার গণঅধিকার পরিষদ থেকে প্রার্থী হতে পারেন। দলটির নেতা নুরুল হক নুরের সঙ্গে তাঁর একাধিক বৈঠক ও ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি হিরো আলম, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নয়, বরং একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নামবেন।
হিরো আলম বলেন, “সময় হলে সব কিছু জানাব। তবে এটুকু বলতে পারি এবার আমি স্বতন্ত্র নই, একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব। কয়েক দিনের মধ্যেই জানাতে পারব কোন দলের হয়ে লড়ব।”
এবারের নির্বাচনে হিরো আলম দুটি আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন একটি ঢাকা-১৭ আসন এবং অন্যটি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন।
তিনি বলেন, “এর আগেও আমি দুটি আসন থেকে নির্বাচন করেছি। এই দুই আসনের মানুষের সঙ্গে আমার আলাদা সম্পর্ক আছে। ঢাকায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর অনেকেই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি— এবারও দুটি আসন থেকেই লড়ব।”
জানা গেছে, ঢাকা-১৭ আসনে এবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ নির্বাচন করবেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, এনসিপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ওই আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফলে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে একাধিক অভিজ্ঞ ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী প্রার্থীর সঙ্গে।
অন্যদিকে বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন প্রার্থী হতে পারেন। সেখানে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নুরুল হক নুর ও হিরো আলমের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি নুর হিরো আলমের অফিসেও সাক্ষাৎ করেছেন।
দলের এক নেতা বলেন, “হিরো আলম তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়। তাঁর উপস্থিতি নির্বাচনী প্রচারে অন্যরকম প্রাণ আনবে বলে আমরা মনে করছি।”
এর আগে ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হিরো আলম সাড়া ফেলেছিলেন। খুব অল্প ব্যবধানে পরাজিত হলেও ভোটের প্রচারে তাঁর উপস্থিতি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
এছাড়াও তিনি বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকেও প্রার্থী হয়েছিলেন, যদিও কোথাও জয় পাননি। তবু তাঁর সাহসী মনোভাব, বিতর্কিত প্রচারপদ্ধতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা তাঁকে দেশের সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনী প্রার্থীদের একজন করে তুলেছে।
রাজনীতিতে নিজের অবস্থান নিয়ে হিরো আলম বলেন, “আমি চাই সাধারণ মানুষের কথা সংসদে তুলে ধরতে। কেউ যদি সুযোগ দেয়, আমি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা এবার নির্বাচনে একটি ‘নন-ট্র্যাডিশনাল ভোট ব্লক’ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে।
এখনো দলীয় মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও, বিনোদন জগত থেকে রাজনীতিতে হিরো আলমের পুনঃপ্রবেশে নির্বাচনী অঙ্গনে ইতিমধ্যেই নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি কোন দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন— সেটি জানালেই এবারের নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থীদের একজন হবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়





































































































































































































