ঢাকা ১২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ সেনা কর্মকর্তার নিরাপত্তায় ৩৫ জন কারারক্ষী

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৫৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৪২ Time View

পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনাসদস্যদের যেভাবে আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।

তাদেরকে সাব-জেলে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, সাব-জেলে কেন রাখা হয়েছে, উনাদের (সেনাসদস্য) কোথায় রাখা হবে, এটা সম্পূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়।‌ যেটা যথোপযুক্ত মনে করবেন, ওনারা করবেন। এর জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ১৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা তিনটি আবেদন করেছি। এর মধ্যে জামিন আবেদন ২০ নভেম্বর শুনানি হবে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তাদের কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মানে কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে চলে যাবেন তারা। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন, অর্থাৎ কোন জেলে রাখবেন কোন সাব-জেলে রাখবেন, ঢাকায় রাখবেন না চট্টগ্রামে পাঠাবেন বা অন্য কোথাও রাখবেন এই অথরিটি কারা কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ সরকারের।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসামিদের সেনানিবাসে একটি সাব-জেলে রাখা হবে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে এটি পরিচালিত হবে। আজকের জন্য ৩৫ জন কারারক্ষী সেখানে নিয়োজিত থাকবেন।

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ ইসলাম বলেন, আমরা বন্দির সংখ্যা হিসেবে কারারক্ষী নিয়োজিত করি। আজকের জন্য ৩৫ জন নিয়োজিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

১৫ সেনা কর্মকর্তার নিরাপত্তায় ৩৫ জন কারারক্ষী

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৩:৫৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে সেনাসদস্যদের যেভাবে আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।

তাদেরকে সাব-জেলে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, সাব-জেলে কেন রাখা হয়েছে, উনাদের (সেনাসদস্য) কোথায় রাখা হবে, এটা সম্পূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভুক্ত বিষয়।‌ যেটা যথোপযুক্ত মনে করবেন, ওনারা করবেন। এর জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ১৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা তিনটি আবেদন করেছি। এর মধ্যে জামিন আবেদন ২০ নভেম্বর শুনানি হবে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তাদের কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মানে কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে চলে যাবেন তারা। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন, অর্থাৎ কোন জেলে রাখবেন কোন সাব-জেলে রাখবেন, ঢাকায় রাখবেন না চট্টগ্রামে পাঠাবেন বা অন্য কোথাও রাখবেন এই অথরিটি কারা কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ সরকারের।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসামিদের সেনানিবাসে একটি সাব-জেলে রাখা হবে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে এটি পরিচালিত হবে। আজকের জন্য ৩৫ জন কারারক্ষী সেখানে নিয়োজিত থাকবেন।

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ ইসলাম বলেন, আমরা বন্দির সংখ্যা হিসেবে কারারক্ষী নিয়োজিত করি। আজকের জন্য ৩৫ জন নিয়োজিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।