১৫টি কুকুরকে তিন মাস খাওয়ানোর শর্তে ফেনীতে আসামির মুক্তি

- Update Time : ০৯:২১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৬১ Time View
ফেনীতে প্রকাশ্যে ৯টি শাবকসহ দুই মা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন।
মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও আদালত তাকে সাজা না দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে তিন মাসের প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন। ১৫টি কুকুরকে তিন মাস খাওয়ানোর শর্তে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক অপরাজিতা দাস আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম পিয়াস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম পিয়াস বলেন, প্রাণী হত্যার ঘটনায় ফেনীতে এটিই প্রথম কোনো মামলা ছিল। এ মামলায় আসামি জসিম উদ্দিন দোষ স্বীকার করায় আদালত তাকে তিন মাসের প্রবেশন দিয়েছেন। প্রবেশনকালীন আসামি ১৫টি কুকুরকে খাওয়াতে হবে এবং পশুর যত্ন নিতে হবে। ১৫টি কুকুরকে খাওয়ানো ও প্রবেশন বিষয়ে ছবিসহ প্রতিবেদন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে পরবর্তী আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। যদি প্রবেশন সময়ের মধ্যে শর্ত ভঙ্গ করেন তাহলে আদালত আইনে যেকোনো দণ্ড দিতে পারেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ৯ জুলাই পিটিয়ে কুকুর হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত। একইদিন শুনানি শেষে প্রধান অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।
গত ১ এপ্রিল ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনিমেল এইড ফেনীর পরিচালক এনাম হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আশেকুর রহমান।
মামলার বাদী এনাম হোসেন বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি সড়কের শান্তি কোম্পানি বাড়ির কালামিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন বিনা কারণে দুই মা কুকুর ও ৯টি শাবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেন। কুকুরগুলো হত্যা করে আসামিরা প্রাণিকল্যাণ আইন লঙ্ঘন করেছেন। অন্যায়ভাবে প্রাণী নিধন বন্ধের জন্যই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়