১৪ বছর পর হদিস মিলল সেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মেজর জিয়ার

- Update Time : ০৫:২৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৫০ Time View
‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মেজর জিয়া। যার হদিস মিললো ১৪ বছর পর। মামলা ও জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হকের দাবি, ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায়, তাকে সামনে রেখে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর হদিস মিলেছে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিয়া ওরফে মেজর জিয়ার। এরই মধ্যে সাতটি মামলা ও জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছেন তিনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে গত ২৯ ডিসেম্বর নিজের নামে থাকা ৭টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে, মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার ও তার নামে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন মেজর জিয়া।
মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, জিয়া আমাকে নিজে মেসেঞ্জারে ফোন দিয়েছে। সে বলেছে যে মামলাগুলো হয়েছে এগুলো সব মিথ্যা। সে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে। তার ব্যাপারে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করার জন্য। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন, তার পলিটিক্যাল মটিভেটেড মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য।
ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন জানান, ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়া। তবে কোন দেশে তা জানা যায়নি। তিনি বলেন, এখনো আমাকে জানাননি তিনি কোথায় আছেন।
বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশের খাতায় যিনি একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। কখনো আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনোবা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে তাকে। জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল সেসময়।
ব্লগার দীপন, অভিজিৎ, জুলহাস হত্যাসহ ৭টি মামলার আসামি তিনি। যার মধ্যে তিনটি ফাঁসির দণ্ড ঝুলছে তার মাথায়।
দুই মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া ওই নথির সুত্র ধরে কথা হয় মেজর জিয়ার আইনজীবীর সঙ্গে। নিশ্চিত করেন এই আবেদন কে করেছেন?
এদিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে জিয়া ওরফে মেজর জিয়া অডিও কলে বলেন, ‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। এভাবেই বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করে। তাদের সকল বিরোধী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।’
তিনি বলেন, ‘শুরুতে এক সময় আমাকে জঙ্গি বলা হয়েছে। পরে এক সময় আল কায়দা বলা হয়েছে, পরে আনসার আল ইসলাম বলা হয়েছে। আরেক সময় আইএস বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে চাপে রাখা যায়।’
তার অভিযোগ, ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী হওয়ায়, হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হক বলেন, পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। এই ভাই বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার কিভাবে জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করে। তাদের সকল বিরোধী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশীটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার দাবি, ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় টার্গেট করা হয়েছিল তাকে। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।
সৈয়দ জিয়াউল হক আরও বলেন, শুরুতে এক সময় জঙ্গি বলা হয়েছে। পরে এক সময় আল কায়দা বলা হয়েছে, পরে আনসার আল ইসলাম বলা হয়েছে। আরেক সময় আইএস বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে চাপে রাখা যায়।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন বর্তমানে পুলিশের খাতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। পুলিশ কখনও তাকে আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনো-বা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় তাকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। মেজর জিয়া ব্লগার দীপন, অভিজিত্, জুলহাস হত্যাসহ সাতটি মামলার আসামি। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়, মেজর জিয়াকে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তাই গেলো ২৫ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহারে লিখিত আবেদন করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে।