ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গ্রহণ

১৩ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বহন করতে পারছে না বাংলাদেশ

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ১০:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৭ Time View

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির সভায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য বক্তব্য রাখেন

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবে, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং তাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ১০৫টি দেশ এই প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাসসের এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকারের লাগাতার লঙ্ঘন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন, মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ এবং বাংলাদেশে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততারও আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল হতাশা প্রকাশ করে যে গত আট বছরে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে বলেছে যে, বাংলাদেশ আর ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বোঝা বহন করতে পারছে না। তাই তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গ্রহণ

১৩ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বহন করতে পারছে না বাংলাদেশ

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ১০:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবে, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং তাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ১০৫টি দেশ এই প্রস্তাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাসসের এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছরই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকারের লাগাতার লঙ্ঘন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন, মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ এবং বাংলাদেশে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততারও আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল হতাশা প্রকাশ করে যে গত আট বছরে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের জন্য কোনো কার্যকর অগ্রগতি হয়নি। প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে বলেছে যে, বাংলাদেশ আর ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বোঝা বহন করতে পারছে না। তাই তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।