ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
‘নদী গরিব-দুঃখী বোঝে না বাহে’ অশ্রুসিক্ত নয়নে তিস্তার তীরবর্তী মানুষ বাড়ি ফেরার পথে মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা,গ্রেপ্তার ১ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানে কাজ করার জন্য এশিয়ান স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির যাত্রা শুরু কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর নোয়াখালীতে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে মাদরাসা শিক্ষককে গুলি নোয়াখালীতে চলন্ত ট্রেনে হামলা যারা ভোট দিয়েছে, যারা ভোট দেননি, তাদের সবার অভিভাবক আপনারা সেতুর নাট খোলার সময় দুই চোর আটক, পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গাইবান্ধায় বিএনপির সমাবেশ সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার পুনর্বহালের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ
মেয়ের পরকীয়ার জের

১৩ বৎসর পর সাবেক এমপি’র স্ত্রী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ০৮:১৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / ৩০ Time View

সাভারের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) শামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ঘটনার ১৩ বছর পর বুধবার সাভার থেকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হলো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মূল হত্যাকারী সাবেক এমপির বাসার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সুবল কুমার রায় (৫০), এমপিকন্যা শামীমা খান মজলিস ওরফে (পপি) এবং আরতি সরকার (৬০)।

মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাত ঘুরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হলে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় মামলার তদন্ত কাজ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মামলা পুনরায় পুনরুজ্জীবিত করতে নির্দেশনা আসে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিশ এর পাশাপাশি বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের মধ্যে রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে ওই বাসায় কারা কারা আসতো। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতো। কিন্তু তার বহুদিন ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি সে বিগত ৩০ বছর ধরে সাভার থানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছে। সেই সঙ্গে পাশেই তার একটি বড় মুদির দোকানও আছে।

কিন্তু আমরা তদন্তকালে যেসব কথা জানতে পারি তার মধ্যে সুইচ বোর্ডটি ভাঙ্গা এবং দুইটা তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে আসছিল। এরপর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায়কে নিয়ে আসি।

আমাদের প্রাক্তন সংসদ সদস্য খান মজলিস তাকে পছন্দ করতেন তাই আসামি সুবল কুমার রায় মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন এবং বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজ করে দিতেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সুবল কুমার রায় প্রাক্তন সংসদ সদস্যের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

পিবিআই জানায়, নিহত সেলিমা খান মজলিশ (৬৩), বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম শামসুদ্দোহা খান এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার স্বামীর দুই তলার বাড়ির নিচ তলার পশ্চিম পার্শ্বের ফ্ল্যাটে বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ পপি (৫৭), স্বামী-মৃত শেখ আবু তাহের, মেয়ে তিলোত্তমা ও মেয়ের জামাই আবুল কালাম আজাদ এবং পূর্ব পার্শ্বের ফ্লাটে সেজ মেয়ে সেলিনা খান মজলিশ শিল্পী (৩৮), স্বামী-মোঃ আঃ মান্নান এবং তার একমাত্র ছেলে প্লাবন (১২) কে নিয়ে বসবাস করতেন।

পিবিআই জানায়, আসামি সুবল কুমার রায়কে গ্রেপ্তারের পর আদালতের জবানবন্দিমূলক স্বীকারোক্তিতে জানান, ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশের বড় মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে সে নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিশের স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল কুমার রায় এবং শামীমা খান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে তাকে মারধর এবং অপমান করা হলে তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে আর এই বাসায় আসতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল কুমার রায় বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশ ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান সুবল চুপিচুপি তার বাড়ির দিকে আসছেন। এরপর সে এটা দেখে চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন আসামি সুবল এবং শামীমা খান মজলিশ মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য মেয়ে শামীমা খান মজলিশ তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোঁচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যায়নি জীবিত আছে তখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসামি সুবল ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দুটি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় ইলেকট্রিক শক দেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনাটি ঘটে রান্না ঘরে। কিন্তু আমরা ভিকটিমকে পেয়েছি বেডরুমে।

তিনি বলেন, জবানবন্দি থেকে জানা যায় যে, ২০০১ সালের ১৪ জুন সকাল অনুমান সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে যেকোনো সময় এই ঘটনা ঘটে। বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পাশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে পোঁচ মারার পর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দুটি বালিশ দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সুবল।

এব্যাপারে, পিবিইআই উত্তরা বিভাগের পুলিশ সুপার কুদরতে খুদা জানান, আসামি সরস্বতীকে প্রথমে বুধবার সাভারের আড়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে সাভার থেকেই তার এক বোন এবং তাদের পারিবারিক সম্পর্কের দাদা সুবল দাসকে সাভার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মেয়ের পরকীয়ার জের

১৩ বৎসর পর সাবেক এমপি’র স্ত্রী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন

Update Time : ০৮:১৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

সাভারের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) শামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

ঘটনার ১৩ বছর পর বুধবার সাভার থেকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হলো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মূল হত্যাকারী সাবেক এমপির বাসার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সুবল কুমার রায় (৫০), এমপিকন্যা শামীমা খান মজলিস ওরফে (পপি) এবং আরতি সরকার (৬০)।

মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাত ঘুরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হলে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় মামলার তদন্ত কাজ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মামলা পুনরায় পুনরুজ্জীবিত করতে নির্দেশনা আসে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিশ এর পাশাপাশি বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের মধ্যে রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে ওই বাসায় কারা কারা আসতো। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতো। কিন্তু তার বহুদিন ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি সে বিগত ৩০ বছর ধরে সাভার থানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছে। সেই সঙ্গে পাশেই তার একটি বড় মুদির দোকানও আছে।

কিন্তু আমরা তদন্তকালে যেসব কথা জানতে পারি তার মধ্যে সুইচ বোর্ডটি ভাঙ্গা এবং দুইটা তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে আসছিল। এরপর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায়কে নিয়ে আসি।

আমাদের প্রাক্তন সংসদ সদস্য খান মজলিস তাকে পছন্দ করতেন তাই আসামি সুবল কুমার রায় মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন এবং বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজ করে দিতেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সুবল কুমার রায় প্রাক্তন সংসদ সদস্যের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

পিবিআই জানায়, নিহত সেলিমা খান মজলিশ (৬৩), বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম শামসুদ্দোহা খান এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার স্বামীর দুই তলার বাড়ির নিচ তলার পশ্চিম পার্শ্বের ফ্ল্যাটে বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ পপি (৫৭), স্বামী-মৃত শেখ আবু তাহের, মেয়ে তিলোত্তমা ও মেয়ের জামাই আবুল কালাম আজাদ এবং পূর্ব পার্শ্বের ফ্লাটে সেজ মেয়ে সেলিনা খান মজলিশ শিল্পী (৩৮), স্বামী-মোঃ আঃ মান্নান এবং তার একমাত্র ছেলে প্লাবন (১২) কে নিয়ে বসবাস করতেন।

পিবিআই জানায়, আসামি সুবল কুমার রায়কে গ্রেপ্তারের পর আদালতের জবানবন্দিমূলক স্বীকারোক্তিতে জানান, ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশের বড় মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে সে নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিশের স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল কুমার রায় এবং শামীমা খান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে তাকে মারধর এবং অপমান করা হলে তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে আর এই বাসায় আসতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল কুমার রায় বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশ ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান সুবল চুপিচুপি তার বাড়ির দিকে আসছেন। এরপর সে এটা দেখে চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন আসামি সুবল এবং শামীমা খান মজলিশ মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য মেয়ে শামীমা খান মজলিশ তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোঁচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যায়নি জীবিত আছে তখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসামি সুবল ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দুটি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় ইলেকট্রিক শক দেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনাটি ঘটে রান্না ঘরে। কিন্তু আমরা ভিকটিমকে পেয়েছি বেডরুমে।

তিনি বলেন, জবানবন্দি থেকে জানা যায় যে, ২০০১ সালের ১৪ জুন সকাল অনুমান সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে যেকোনো সময় এই ঘটনা ঘটে। বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পাশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে পোঁচ মারার পর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দুটি বালিশ দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সুবল।

এব্যাপারে, পিবিইআই উত্তরা বিভাগের পুলিশ সুপার কুদরতে খুদা জানান, আসামি সরস্বতীকে প্রথমে বুধবার সাভারের আড়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে সাভার থেকেই তার এক বোন এবং তাদের পারিবারিক সম্পর্কের দাদা সুবল দাসকে সাভার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।