ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ

১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বরগুনা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:০৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ Time View

বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১২ জন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো. সাইফুল রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আইনজীবীরা হলেন বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্টু, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট ইমরান হোসাইন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল ও অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন।

বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নঈমুল ইসলাম ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাসানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১৫৮ জন নেতাকর্মী বিএনপির বরগুনা জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে প্রায় ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার পর ১২ আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।

জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২৪ জুলাই তারা পুনরায় জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন বলেন, “মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা, এটি জামিন অযোগ্য।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব মিয়া ও অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা পুনরায় জামিন আবেদন করব। আসামিরা সবাই নিয়মিত আদালতে কর্মরত আইনজীবী, তারা পলাতক হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাছাড়া, মামলাটি দুই বছর আগের একটি রাজনৈতিক ঘটনার ভিত্তিতে করা হয়েছে এবং অনেক আসামি আওয়ামী লীগের সদস্যও নন।’

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ

১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বরগুনা প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:০৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১২ জন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো. সাইফুল রহমান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আইনজীবীরা হলেন বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্টু, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট ইমরান হোসাইন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল ও অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন।

বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নঈমুল ইসলাম ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাসানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১৫৮ জন নেতাকর্মী বিএনপির বরগুনা জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে প্রায় ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার পর ১২ আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।

জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২৪ জুলাই তারা পুনরায় জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নুরুল আমীন বলেন, “মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা, এটি জামিন অযোগ্য।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব মিয়া ও অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা পুনরায় জামিন আবেদন করব। আসামিরা সবাই নিয়মিত আদালতে কর্মরত আইনজীবী, তারা পলাতক হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাছাড়া, মামলাটি দুই বছর আগের একটি রাজনৈতিক ঘটনার ভিত্তিতে করা হয়েছে এবং অনেক আসামি আওয়ামী লীগের সদস্যও নন।’