ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইস্কুলের জমির কাগজ জালিয়াতি করে প্রাইমারী বিদ্যালয় জাতীয় করন

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:১৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৫ Time View

মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমির কাগজ জাল- জালিয়াতি করে প্রাইমারী বিদ্যালয় জাতীয় করনসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের বাংলাদেশ শিশু সৈনিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ,মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে জমি দাতা নুরুল হক,জাহেদুল ইসলাম,এজাবুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪৭১৯ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সেক্রেটারীর নামে ৫ দাগে মোট ৪৬ শতক সম্পত্তি লিখে দেন তারা। এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন একরামুল হক।

কিন্তু তিনি আর্থিক প্রয়োজন মিটানোর উদ্দেশ্যে উক্ত বিদ্যালয়ের স্থাপনায় বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বিদ্যালয় (প্রি-প্রেইড) ভাসমান নামধারী বিদ্যালয় চালু করেন। এই বিদ্যালয় দুটিতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব এককভাবে পালন করেন তিনি। কিন্তু সুচতুর, দূর্নীতিবাজ জাল-জালিয়াতি সহ ও অসৎ উদ্দেশ্যে মালিকানা নামীয় সম্পত্তিবিহীন বাংলাদেশ শিশু সৈনিক নামধারী বিদ্যালয়টিকে সরকারি করনের হীনমানসে ভাসমান প্রতিষ্ঠানটিতে একটি গোপনে ভুয়া কমিটি গঠন করেন। সেই ভুয়া কমিটির মাধ্যমে সে নিজেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে কয়েকজন সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়।

শুধু তাই নয় দুর্নীতিবাজ একরামুল হক সুকৌশলে মন্থনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে উপরেল্লিখিত সম্পত্তির দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রির তারিখ, সম্পত্তির তফসিল এবং দাতা ব্যক্তিগণের নাম সব সঠিক রেখে শুধুমাত্র সম্পত্তির পরিমাণ ৪৬ শতকের স্থলে ৩৫ শতক এবং গ্রহিতা হিসেবে মন্ত্রনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে সেক্রেটারীর নামের পরিবর্তে জাল-জালিয়াতি ভাবে বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেক্রেটারীর নামে একটি জাল দলিল করে খাজনা,খারিজ, ব্যাংকের সাধারণ তহবিল ও রিজার্ভ তহবিলসহ সবকিছু করেছেন তিনি। এ সকল ভুয়া কাগজ দিয়ে বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয় মন্হনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকিসহ প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদানের পরিবেশ নষ্ট করেছেন তিনি।
অভিযোগে আরো জানা যায়, জাল জালিয়াতির তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পর সে নিজেকে বিশাল মনে করেন। মন্হনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজ নামীয় সম্পত্তি হতে স্থাপনা সরানোর জন্য বর্তমান প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিকে হুমকি দেওয়াসহ ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানান ধরনের ভয়ভীতি দেখান। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের লক্ষ্যে তদন্তে আসেন উদ্ধৃতন কর্তৃপক্ষ। সেখানে কিছু অসাধু শিক্ষা কর্মকর্তা সাথে যোগসাজসে এই সকল ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সরকারীকরণ করেছে। তার এসব জাল-জালিয়াতি , অপকর্মের ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর করে এলাকাবাসীরা অভিযোগ দাখিল করেন।

প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের সাথে মুঠোফোনে বা সরাসরি যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া না গেলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

হাইস্কুলের জমির কাগজ জালিয়াতি করে প্রাইমারী বিদ্যালয় জাতীয় করন

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:১৮:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমির কাগজ জাল- জালিয়াতি করে প্রাইমারী বিদ্যালয় জাতীয় করনসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের বাংলাদেশ শিশু সৈনিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ,মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে জমি দাতা নুরুল হক,জাহেদুল ইসলাম,এজাবুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪৭১৯ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সেক্রেটারীর নামে ৫ দাগে মোট ৪৬ শতক সম্পত্তি লিখে দেন তারা। এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন একরামুল হক।

কিন্তু তিনি আর্থিক প্রয়োজন মিটানোর উদ্দেশ্যে উক্ত বিদ্যালয়ের স্থাপনায় বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বিদ্যালয় (প্রি-প্রেইড) ভাসমান নামধারী বিদ্যালয় চালু করেন। এই বিদ্যালয় দুটিতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব এককভাবে পালন করেন তিনি। কিন্তু সুচতুর, দূর্নীতিবাজ জাল-জালিয়াতি সহ ও অসৎ উদ্দেশ্যে মালিকানা নামীয় সম্পত্তিবিহীন বাংলাদেশ শিশু সৈনিক নামধারী বিদ্যালয়টিকে সরকারি করনের হীনমানসে ভাসমান প্রতিষ্ঠানটিতে একটি গোপনে ভুয়া কমিটি গঠন করেন। সেই ভুয়া কমিটির মাধ্যমে সে নিজেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে কয়েকজন সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়।

শুধু তাই নয় দুর্নীতিবাজ একরামুল হক সুকৌশলে মন্থনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে উপরেল্লিখিত সম্পত্তির দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রির তারিখ, সম্পত্তির তফসিল এবং দাতা ব্যক্তিগণের নাম সব সঠিক রেখে শুধুমাত্র সম্পত্তির পরিমাণ ৪৬ শতকের স্থলে ৩৫ শতক এবং গ্রহিতা হিসেবে মন্ত্রনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে সেক্রেটারীর নামের পরিবর্তে জাল-জালিয়াতি ভাবে বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেক্রেটারীর নামে একটি জাল দলিল করে খাজনা,খারিজ, ব্যাংকের সাধারণ তহবিল ও রিজার্ভ তহবিলসহ সবকিছু করেছেন তিনি। এ সকল ভুয়া কাগজ দিয়ে বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয় মন্হনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকিসহ প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদানের পরিবেশ নষ্ট করেছেন তিনি।
অভিযোগে আরো জানা যায়, জাল জালিয়াতির তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পর সে নিজেকে বিশাল মনে করেন। মন্হনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজ নামীয় সম্পত্তি হতে স্থাপনা সরানোর জন্য বর্তমান প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিকে হুমকি দেওয়াসহ ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানান ধরনের ভয়ভীতি দেখান। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ শিশু সৈনিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের লক্ষ্যে তদন্তে আসেন উদ্ধৃতন কর্তৃপক্ষ। সেখানে কিছু অসাধু শিক্ষা কর্মকর্তা সাথে যোগসাজসে এই সকল ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সরকারীকরণ করেছে। তার এসব জাল-জালিয়াতি , অপকর্মের ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর করে এলাকাবাসীরা অভিযোগ দাখিল করেন।

প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের সাথে মুঠোফোনে বা সরাসরি যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া না গেলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।