ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় চালক-হেলপার কারাগারে সূর্যের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ বিএনপির লক্ষ্য একাত্তর মুছে সাত চল্লিশে ফিরে যাওয়া: শাহরিয়ার কবির  হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির, একই পরিবারের ৬ জন নিহত ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহত ১৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য মোদিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা মাদক ব্যবসায় বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে সিআইডি বিয়ের মিথ্যে নাটক সাজিয়ে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপন, আসামী গ্রেফতার গুলশানে বারের সামনে নারীদের চুলোচুলি, ৩ জন গ্রেপ্তার

হাইকোর্টে রুল শুনানিতে উঠছে পরীমনির মাদক মামলা

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৬৬ Time View

রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য উঠছে। পরীমনির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে কার্যতালিকাভুক্ত হয়েছে।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

একই বছরের ৩১ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পর দিন তিনি কারামুক্ত হন।

পরে একই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবীর হাওলাদার।

পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে আপিল বিভাগে শুনানি শেষে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মামলার কার্যক্রম ছয় মাস পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের জারি করা রুল ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

ওই দিন পরীমনির একজন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের যে রুল পেন্ডিং আছে সে রুলটা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন ট্রায়ালটা প্রসিড না করেন। ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আমরা যদি রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই, তাহলে মামলার প্রসিডিংস আবার চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

হাইকোর্টে রুল শুনানিতে উঠছে পরীমনির মাদক মামলা

Update Time : ০৯:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য উঠছে। পরীমনির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে কার্যতালিকাভুক্ত হয়েছে।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

একই বছরের ৩১ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পর দিন তিনি কারামুক্ত হন।

পরে একই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবীর হাওলাদার।

পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে আপিল বিভাগে শুনানি শেষে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মামলার কার্যক্রম ছয় মাস পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের জারি করা রুল ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

ওই দিন পরীমনির একজন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের যে রুল পেন্ডিং আছে সে রুলটা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন ট্রায়ালটা প্রসিড না করেন। ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আমরা যদি রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই, তাহলে মামলার প্রসিডিংস আবার চলবে।