ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে দায়েরকৃত সিঃরিঃ মামলার মুল নথি আটকে রেখেছেন জেলা জজ

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২২০ Time View

শরীয়তপুরের জেলা জজ সোলায়মান

শরীয়তপুর জেলা জজ সোলায়মান বিচারকার্য পরিচালনা করবেন এই আশায় আজ (সোমবার) হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও আইনজীবিদের বয়কট ও প্রতিবাদের মুখে এজলাসে উঠতে পারেননি।

এ নিয়ে তার আদালতে ৫ দিন যাবৎ বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেও এজলাসে উঠতে না পারায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে নথি পাঠিয়ে দেন।

তিনি তার খাস কামড়ায় অনুনয় বিনয় করে, সিনিয়র আইনজীবিদের হাতে পায়ে ধরে কান্না করে ৭ দিনের সময় চেয়ে নেন এবং এরপর তিনি বদলী হয়ে যাবেন বলে আইনজীবিদের নিকট প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় বদলী হতে না পারলে আইনজীবিদের বলেন আগামী সোমবার তারা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না এবং সোমবারের পর তিনিও আর আদালতে থাকবেন না।

উল্লেখ্য, তিনি পিতার অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিলেও বাবাকে দেখতে যান নি, কিনতে গিয়েছিলেন নতুন গাড়ি।  সেই নতুন গাড়ি কেনা উপলক্ষ্যে জেলা জজ আজ তার খাস কামড়ায়  বিচারক ও কর্মচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবি বলেন, এই ৭ দিনে তিনি গণহারে পছন্দের মামলা নিষ্পত্তি এবং জামিন দিবেন।

উক্ত আইনজীবি আরো জানান, বারের দুইজন প্রভাবশালী আইনজীবিকে অনৈতিক ও অন্যায় সুবিধা দিয়ে খুশি করার আশ্বাস দেন যা তিনি প্রথম থেকেও করেছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত বিতর্কিত দেঃ ১৬৭/২১ মামলার বিবাদী ফজলুল করিম হাওলাদার জেলা জজ সোলায়মানের অবৈধ মিস-৮৯/২৪ মামলার আদেশ এর বিরুদ্ধে মাননীয় উচ্চ আদালতে সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করেন এবং সিভিল রিভিশন নং-৫৪৬৯/২৪ যা এখনোও বিচারাধীন আছে।

উক্ত অবৈধ মিস-৮৯/২৪ মামলার বিরুদ্ধে সিভিল রিভিশন নং-৫৪৬৯/২৪ যা ২০২৪ সালে দায়ের করার এক বছর পেরিয়ে গেলেও সোলায়মান ইচ্ছাকৃতভাবে মূল নথি আটকে রেখে উচ্চ আদালতে প্রেরন করছেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

হাইকোর্টে দায়েরকৃত সিঃরিঃ মামলার মুল নথি আটকে রেখেছেন জেলা জজ

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৯:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুর জেলা জজ সোলায়মান বিচারকার্য পরিচালনা করবেন এই আশায় আজ (সোমবার) হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও আইনজীবিদের বয়কট ও প্রতিবাদের মুখে এজলাসে উঠতে পারেননি।

এ নিয়ে তার আদালতে ৫ দিন যাবৎ বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেও এজলাসে উঠতে না পারায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে নথি পাঠিয়ে দেন।

তিনি তার খাস কামড়ায় অনুনয় বিনয় করে, সিনিয়র আইনজীবিদের হাতে পায়ে ধরে কান্না করে ৭ দিনের সময় চেয়ে নেন এবং এরপর তিনি বদলী হয়ে যাবেন বলে আইনজীবিদের নিকট প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় বদলী হতে না পারলে আইনজীবিদের বলেন আগামী সোমবার তারা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না এবং সোমবারের পর তিনিও আর আদালতে থাকবেন না।

উল্লেখ্য, তিনি পিতার অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিলেও বাবাকে দেখতে যান নি, কিনতে গিয়েছিলেন নতুন গাড়ি।  সেই নতুন গাড়ি কেনা উপলক্ষ্যে জেলা জজ আজ তার খাস কামড়ায়  বিচারক ও কর্মচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবি বলেন, এই ৭ দিনে তিনি গণহারে পছন্দের মামলা নিষ্পত্তি এবং জামিন দিবেন।

উক্ত আইনজীবি আরো জানান, বারের দুইজন প্রভাবশালী আইনজীবিকে অনৈতিক ও অন্যায় সুবিধা দিয়ে খুশি করার আশ্বাস দেন যা তিনি প্রথম থেকেও করেছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত বিতর্কিত দেঃ ১৬৭/২১ মামলার বিবাদী ফজলুল করিম হাওলাদার জেলা জজ সোলায়মানের অবৈধ মিস-৮৯/২৪ মামলার আদেশ এর বিরুদ্ধে মাননীয় উচ্চ আদালতে সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করেন এবং সিভিল রিভিশন নং-৫৪৬৯/২৪ যা এখনোও বিচারাধীন আছে।

উক্ত অবৈধ মিস-৮৯/২৪ মামলার বিরুদ্ধে সিভিল রিভিশন নং-৫৪৬৯/২৪ যা ২০২৪ সালে দায়ের করার এক বছর পেরিয়ে গেলেও সোলায়মান ইচ্ছাকৃতভাবে মূল নথি আটকে রেখে উচ্চ আদালতে প্রেরন করছেন না।