ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষীদাতা সিরু বাঙালির ফাঁসির দাবি উন্নয়ন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে রংপুর: একনেক থেকে বাদ পড়লো উন্নয়ন প্রকল্প আ’লীগ নেতা তুষার কান্তির ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিলেট ওসমানী মেডিকেলের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক মানহানি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান বসুন্ধরা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিভি হাসপাতালের নার্স ও মিডওয়াইফারিরা মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করতে বললেন নাহিদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মিলন

হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৪:৫৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১২ Time View

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবি মোফাজ্জল হোসেন বকুল। তিনি বলেন, আদালত নাম প্রত্যাহারের এফিডেফিটটি গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এরআগে গত পহেলা সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন এবং সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার।

এফিডেফিটে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বর্ণ শ্রমিক মিলন।

২৭ আগস্ট রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর কোতয়ালী মেট্রো থানার কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেয়।

পরবর্তীতে গণমাধ্যম সূত্রে বাদী দিলরুবা আক্তার জানতে পারেন মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন ও সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। তারা মিলন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর কোন প্রকার অভিযোগ নেই বলে এফিডেফিটে উল্লেখ করা হয়।

দিলরুবা বেগমের ছেলে বায়েজিদ হোসেন বলেন, বাবার মৃত্যুর পর পুরো পরিবার শোকাহত ছিল। আমার বাবা হত্যার ঘটনায় মা বাদী হয়ে মামলা করেছিল। সেই মামলা থেকে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারে আবেদন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মিলন

হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০৪:৫৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবি মোফাজ্জল হোসেন বকুল। তিনি বলেন, আদালত নাম প্রত্যাহারের এফিডেফিটটি গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এরআগে গত পহেলা সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন এবং সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার।

এফিডেফিটে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বর্ণ শ্রমিক মিলন।

২৭ আগস্ট রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর কোতয়ালী মেট্রো থানার কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেয়।

পরবর্তীতে গণমাধ্যম সূত্রে বাদী দিলরুবা আক্তার জানতে পারেন মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন ও সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। তারা মিলন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর কোন প্রকার অভিযোগ নেই বলে এফিডেফিটে উল্লেখ করা হয়।

দিলরুবা বেগমের ছেলে বায়েজিদ হোসেন বলেন, বাবার মৃত্যুর পর পুরো পরিবার শোকাহত ছিল। আমার বাবা হত্যার ঘটনায় মা বাদী হয়ে মামলা করেছিল। সেই মামলা থেকে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারে আবেদন করা হয়েছে।