ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

হত্যাচেষ্টা মামলায় হাসিনা-রেহানাসহ আসামি ২০১

আইন-আদালত
  • Update Time : ০২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ১৪ Time View

রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে।তাদের মধ্যে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, পত্রিকাটির সাবেক প্রধান সম্পাদক আবেদ খান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানও রয়েছেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এবিএম জোবায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও শেখ ফজলে নুর তাপস, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী, ড.তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত ও সুভাষ সিংহ রায়।

এর আগে গত ২০ মার্চ এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ ঘটনার শাহবাগ থানায় আর কোনো মামলা আছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছান। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের গতিপথ রোধ করে। আসামিরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।

মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়িলে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।

Please Share This Post in Your Social Media

হত্যাচেষ্টা মামলায় হাসিনা-রেহানাসহ আসামি ২০১

আইন-আদালত
Update Time : ০২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে।তাদের মধ্যে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, পত্রিকাটির সাবেক প্রধান সম্পাদক আবেদ খান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানও রয়েছেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এবিএম জোবায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও শেখ ফজলে নুর তাপস, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী, ড.তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত ও সুভাষ সিংহ রায়।

এর আগে গত ২০ মার্চ এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে এ ঘটনার শাহবাগ থানায় আর কোনো মামলা আছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছান। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ভিকটিম ও তার সঙ্গীদের গতিপথ রোধ করে। আসামিরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে।

মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলিতে ভিকটিমের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়িলে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।