ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সাজাপ্রাপ্ত আসামির জামিন হওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী প‌রিবারের সংবাদ সম্মেলন ভারতীয় কারখানায় তৈরি বিপুল পরিমান অবৈধ চোরাই ফোন উদ্ধার, গ্রেফতার ৪ দিনাজপুর বোর্ডে পরীক্ষার্থী ১১৩৪২০, বেড়েছে মেয়ে শিক্ষার্থী রংপুরে ৬ মাসের মধ্যে রোবটিক সার্জারী শুরু হতে যাচ্ছে ‘আমার চর, আমার পল্লী’ গঠনের মাধ্যমে চরের মানুষের স্থায়ীভাবে ভাগ্য উন্নয়ন করা হবে রংপুর মহানগরীসহ বিভাগের আট জেলায় অসহনীয় লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পক্ষ থেকে এমপিকে উষ্ণ সংবর্ধনা মসজিদের পুকুরে ধরা পড়ল ১০ ইলিশ স্বর্ণালংকার উধাও, বৃদ্ধার পা বাঁধা মরদেহ মিলল পুকুর পাড়ে

স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • / ১০ Time View

বন্যার পর সিলেটে নিত্যপণ্যের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজির দাম। শুধু সবজি না, সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের দামও সাধ্যের বাহিরে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সিলেটবাসী। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। দাম কমার কোনো সুখবর নেই। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এর জন্য অবশ্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।শুক্রবার সিলেট মগানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে সুবহানীঘাট সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। যা এক সাপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া টমেটো ৯০ টাকা কেজি, ঢেরস ২৫ টাকা, পটল কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এদিকে, চলতি সপ্তাহেও কমেনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। আর তেলাপিয়া মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা এবং ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ব্রয়লার, সোনালি, পাকিস্তানি এবং লাল মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে বন্যার কারণে অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েগেছে। যার কারণে বর্তমানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম। তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি। সামনে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রেতারা বলেন, বাজারে যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় না অর্ধেক বাজার করতে পারব। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে? কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে

Update Time : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

বন্যার পর সিলেটে নিত্যপণ্যের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজির দাম। শুধু সবজি না, সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের দামও সাধ্যের বাহিরে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সিলেটবাসী। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। দাম কমার কোনো সুখবর নেই। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এর জন্য অবশ্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।শুক্রবার সিলেট মগানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে সুবহানীঘাট সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। যা এক সাপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া টমেটো ৯০ টাকা কেজি, ঢেরস ২৫ টাকা, পটল কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এদিকে, চলতি সপ্তাহেও কমেনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। আর তেলাপিয়া মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা এবং ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ব্রয়লার, সোনালি, পাকিস্তানি এবং লাল মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে বন্যার কারণে অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েগেছে। যার কারণে বর্তমানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম। তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি। সামনে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রেতারা বলেন, বাজারে যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় না অর্ধেক বাজার করতে পারব। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে? কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।