ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর স্বীকৃতি উপেক্ষা করে নতুন বউ নিয়ে স্বামীর ফুলশয্যা

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ১৩৮ Time View

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৪দিন ধরে লাগাতার অনশন করছেন এক সন্তানের মা পারুল রানী রায়।

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৪দিন ধরে লাগাতার অনশন করছেন এক সন্তানের মা পারুল রানী রায়। গত সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার(১৫ মে) পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

একদিকে পারুলের অনশন আর অন্যদিকে স্বামী নতুন বউ নিয়ে করছেন ফুলশয্যা। চলছে ধুমধাম করে বউ ভাতও। এরপরও তার দাবি থেকে একচুলও নড়ছেন না পারুল। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউপি পশ্চিম মেলাবর গ্রামে।

জানা গেছে, জলঢাকা উপজেলার কৈমারী রথের বাজার গ্রামের সুবল চন্দ্র রায়ের মেয়ে পারুল রানী রায়ের সাথে বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা ইউপির পশ্চিম মেলাবর গ্রামের ডিজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে অবিনাশ চন্দ্র রায়ের। পারুল এক ছেলে সন্তানের মা হলে কিছুদিন পর অবিনাশ চন্দ্র মারা যান। বিধবা পারুলের উপর লোলুপদৃষ্টি পরে পারুলের চাচা শ্বশুরের অবিবাহিত বখাটে ছেলে ভুপাল কান্তি রায়ের(২৭)। পরষ্পরের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক মেনে নিয়ে তারা আবদ্ধ হন বিবাহ বন্ধনে। গত ২০২২ সালে কাজীর মাধ্যমে বিশেষ শর্তাদি ৩০ লাখ টাকা নগদ ও স্বর্ণের চেইন দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্য করা হয়। বিয়ের পর ৩ বছর পর্যন্ত ভুপাল কান্তির কর্মস্থলে গিয়ে সংসার করেন পারুল।

পারুল রানী জানায় ৩ বছর তার সংসার জীবন ভালই চলছিল। হঠাৎ তাদের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মনমালিন্য ঘটে এর পর থেকে ভুপাল তাদের বিয়ে অস্বীকার করে। পারুল রানী আরো বলেন, আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে আমি এই জায়গা থেকে উঠবোনা।

এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, কোর্টে তাদের মামলা থাকায় হস্তক্ষেপ করতে পারছিনা।

Please Share This Post in Your Social Media

স্ত্রীর স্বীকৃতি উপেক্ষা করে নতুন বউ নিয়ে স্বামীর ফুলশয্যা

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৪দিন ধরে লাগাতার অনশন করছেন এক সন্তানের মা পারুল রানী রায়। গত সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার(১৫ মে) পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

একদিকে পারুলের অনশন আর অন্যদিকে স্বামী নতুন বউ নিয়ে করছেন ফুলশয্যা। চলছে ধুমধাম করে বউ ভাতও। এরপরও তার দাবি থেকে একচুলও নড়ছেন না পারুল। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউপি পশ্চিম মেলাবর গ্রামে।

জানা গেছে, জলঢাকা উপজেলার কৈমারী রথের বাজার গ্রামের সুবল চন্দ্র রায়ের মেয়ে পারুল রানী রায়ের সাথে বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা ইউপির পশ্চিম মেলাবর গ্রামের ডিজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে অবিনাশ চন্দ্র রায়ের। পারুল এক ছেলে সন্তানের মা হলে কিছুদিন পর অবিনাশ চন্দ্র মারা যান। বিধবা পারুলের উপর লোলুপদৃষ্টি পরে পারুলের চাচা শ্বশুরের অবিবাহিত বখাটে ছেলে ভুপাল কান্তি রায়ের(২৭)। পরষ্পরের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক মেনে নিয়ে তারা আবদ্ধ হন বিবাহ বন্ধনে। গত ২০২২ সালে কাজীর মাধ্যমে বিশেষ শর্তাদি ৩০ লাখ টাকা নগদ ও স্বর্ণের চেইন দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্য করা হয়। বিয়ের পর ৩ বছর পর্যন্ত ভুপাল কান্তির কর্মস্থলে গিয়ে সংসার করেন পারুল।

পারুল রানী জানায় ৩ বছর তার সংসার জীবন ভালই চলছিল। হঠাৎ তাদের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মনমালিন্য ঘটে এর পর থেকে ভুপাল তাদের বিয়ে অস্বীকার করে। পারুল রানী আরো বলেন, আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে আমি এই জায়গা থেকে উঠবোনা।

এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, কোর্টে তাদের মামলা থাকায় হস্তক্ষেপ করতে পারছিনা।