ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেট প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি ইকরামুল কবির, সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় চালক-হেলপার কারাগারে সূর্যের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ বিএনপির লক্ষ্য একাত্তর মুছে সাত চল্লিশে ফিরে যাওয়া: শাহরিয়ার কবির  হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির, একই পরিবারের ৬ জন নিহত ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহত ১৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য মোদিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা মাদক ব্যবসায় বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে সিআইডি বিয়ের মিথ্যে নাটক সাজিয়ে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপন, আসামী গ্রেফতার

স্ত্রীকে ভারতে পাচার: সাতক্ষীরায় এক ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ২৪৭ Time View

স্ত্রীকে ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাচারের পরে বিক্রি করে দেওয়ার দায়ে সাতক্ষীরায় এক ব্যক্তিকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল (৫২) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালী গ্রামের কিশোরীমোহন মণ্ডলের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের মার্চে শ্যামনগরের চুনাখালী গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। শচীন্দ্রনাথ বিয়ের পর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ইব্রাহীম খলিল। পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই বছরের ৩০ মে রাতে সীমান্তের ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যান তিনি।

এ কাজে তাঁকে স্থানীয় সুশান্ত মণ্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আবদুর রশিদ ও নিমাই বাগদী সহযোগিতা করেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়। পরে আফরোজাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়ে দেশে আসেন শচীন্দ্রনাথ। ভারত থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মানব পাচারের মামলা করেন আফরোজা।

পুলিশ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করে।

মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ভারতে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাঁকে মানব পাচার আইনের ৫(১) ধারায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের কাঠগড়ায় থাকা নিমাই বাগদী ও অপর পলাতক চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পলাতক আসামিদের পক্ষে সহায়তা করেন (স্টেট ডিফেন্স) লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাড. বসির আহম্মেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু। তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল পলাতক।

Please Share This Post in Your Social Media

স্ত্রীকে ভারতে পাচার: সাতক্ষীরায় এক ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড

Update Time : ০৯:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

স্ত্রীকে ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাচারের পরে বিক্রি করে দেওয়ার দায়ে সাতক্ষীরায় এক ব্যক্তিকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল (৫২) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালী গ্রামের কিশোরীমোহন মণ্ডলের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের মার্চে শ্যামনগরের চুনাখালী গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। শচীন্দ্রনাথ বিয়ের পর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ইব্রাহীম খলিল। পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই বছরের ৩০ মে রাতে সীমান্তের ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যান তিনি।

এ কাজে তাঁকে স্থানীয় সুশান্ত মণ্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আবদুর রশিদ ও নিমাই বাগদী সহযোগিতা করেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়। পরে আফরোজাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়ে দেশে আসেন শচীন্দ্রনাথ। ভারত থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মানব পাচারের মামলা করেন আফরোজা।

পুলিশ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করে।

মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ভারতে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাঁকে মানব পাচার আইনের ৫(১) ধারায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের কাঠগড়ায় থাকা নিমাই বাগদী ও অপর পলাতক চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পলাতক আসামিদের পক্ষে সহায়তা করেন (স্টেট ডিফেন্স) লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাড. বসির আহম্মেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু। তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত শচীন্দ্রনাথ মণ্ডল পলাতক।