সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রংপুরে ১২০ পরিবারে ঈদ পালন

- Update Time : ০২:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
- / ৮ Time View
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রংপুরে ১২০ পরিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল বাতেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৪ সালে বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশা ঈমাম হয়ে ২০ থেকে ৪০ জন মুসল্লিকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদ উদযাপন শুরু করেন। তখন থেকেই তার মৃত্যুর আগ সময় পর্যন্ত এ নিয়ম চলে আসছে।
২০২২ সালে মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মাওলানা আব্দুল বাতেন বাবার শুরু করা এই প্রথা ধরে রেখেছেন। বর্তমানে মাওলানা আব্দুল বাতেন ইমাম হয়ে ১২০টি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।
তাদের এই জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে আশপাশের গ্রাম ও শহর থেকে আসা প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনসহ মোট ১৫০ জন মুসল্লি অংশ নেন। এসময় সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ সদস্যদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
এদিকে সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করা স্থানীয় বাসিন্দা মোছাদ্দেক আলী ও রহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট থেকে আমিও এখানে বছরে দুই বার ঈদের নামাজ আদায় করতে আসি। আমার জানা মতে, শুধু গঙ্গাচড়ার এই গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করা হয়।
ঈদের জামাত শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা একে সাথে কোলাকুলি করে কুশল বিনিময় করেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল এমরান বলেন, বড়বিল ইউনিয়নের একটি গ্রামের প্রায় ১২০টি পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তারা যেন সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন। সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।