ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অর্থপাচার ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাহাজভাঙা শিল্প উপকূলের জন্য মারাত্মক: পরিবেশ উপদেষ্টা চরফ্যাশনে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী ও দেবরের আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘরে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ, নারী গ্রেফতার টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে জ্যোতির মৃত্যু: ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: ইসি সানাউল্লাহ জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিতে আবেদন রাষ্ট্রপতির সাথে নব নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ রায়হান হত্যা মামলার শুনানী পেছালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মানতে ফের বিজ্ঞপ্তি

সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি

আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮৫ Time View

সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজটি (একটিভলি) সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সুপ্রীম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব দুটি টয়লেট চালু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ও এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আজ এ কথা বলেন।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলামের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাধারণ বিচারপ্রার্থী যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্টে আসেন ইতঃপূর্বে তাদের সুবিধার জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুটো ডেডিকেটেড স্থানে পুরুষ, মহিলা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য টয়লেট চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি  ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সুপ্রীম কোর্টের অনুমোদনক্রমে ব্রাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধান বিচারপতি জনাব ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নবনির্মিত এ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক জনাব আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি এ উদ্যোগকে জনগণের প্রতি  সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ ও একটি মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেন। সেই সাথে ব্র্যাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।’

এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় বিচার বিভাগ নিয়ে তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞাসহ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১,১৫,১৯,২৭,২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের মর্মানুসারে প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানজনক জীবনযাপন, সমান অধিকার, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও রাষ্ট্রীয় সেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে।

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে আদালতে প্রাঙ্গণে অনেক সময়েই নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই প্রবেশাধীকার নানা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের কারণে সহজলভ্য নয়। ফলে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও অন্ত্ররভুক্তিমূলক টয়লেট সুবিধার অভাব অনেক সময় নারীদের ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিতি ও ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে দুরূহ করে তোলে।

তারই প্রেক্ষাপটে, নব্য চালুকৃত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্বলিত এই টয়লেট দুটি বিচারাঙ্গনের বিভিন্ন সুবিধাকে আরো মানবিক, সম্মানজনক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক করে গড়ে তোলার একটি প্রতিকি পদক্ষেপ।

এই প্রকল্পটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটি বিচারপ্রার্থীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে আরো অন্তর্ভূক্তিমূলক বিচারিক পরিবেশ তৈরি করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে : প্রধান বিচারপতি

আদালত ডেস্ক
Update Time : ০২:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজটি (একটিভলি) সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সুপ্রীম কোর্টের মূল ভবন এবং এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব দুটি টয়লেট চালু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবন ও এনেক্স ভবনে নতুনভাবে সংস্কার করা স্বাস্থ্যসম্মত এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শেষে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আজ এ কথা বলেন।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল গণসংযোগ কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলামের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাধারণ বিচারপ্রার্থী যারা বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্টে আসেন ইতঃপূর্বে তাদের সুবিধার জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুটো ডেডিকেটেড স্থানে পুরুষ, মহিলা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য টয়লেট চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি  ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সুপ্রীম কোর্টের অনুমোদনক্রমে ব্রাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

প্রধান বিচারপতি জনাব ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নবনির্মিত এ স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক জনাব আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি এ উদ্যোগকে জনগণের প্রতি  সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ ও একটি মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেন। সেই সাথে ব্র্যাক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।’

এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় বিচার বিভাগ নিয়ে তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞাসহ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১,১৫,১৯,২৭,২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের মর্মানুসারে প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানজনক জীবনযাপন, সমান অধিকার, ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও রাষ্ট্রীয় সেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে।

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারনে আদালতে প্রাঙ্গণে অনেক সময়েই নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই প্রবেশাধীকার নানা কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের কারণে সহজলভ্য নয়। ফলে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও অন্ত্ররভুক্তিমূলক টয়লেট সুবিধার অভাব অনেক সময় নারীদের ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আদালতে উপস্থিতি ও ন্যায়বিচার পাওয়ার পথকে দুরূহ করে তোলে।

তারই প্রেক্ষাপটে, নব্য চালুকৃত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্বলিত এই টয়লেট দুটি বিচারাঙ্গনের বিভিন্ন সুবিধাকে আরো মানবিক, সম্মানজনক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক করে গড়ে তোলার একটি প্রতিকি পদক্ষেপ।

এই প্রকল্পটি ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য আদালত প্রাঙ্গণে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটি বিচারপ্রার্থীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে আরো অন্তর্ভূক্তিমূলক বিচারিক পরিবেশ তৈরি করবে।