ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট

বিতর্কের মাধ্যমে সমাজের সমস্যাগুলোকে সামনে আনতে চাই: সাদিক কায়েম

নাইমুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৩০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৬৩ Time View

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে সাদিক কায়েম

ডাকসুর ভিপি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘সুষ্ঠু রাজনীতি ও যৌক্তিক সমাজ গঠনের জন্য সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যৌক্তিক সমাজ গঠনের জন্য বিতর্কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিতর্কের মাধ্যমে সমাজের সমস্যাগুলোকে সামনে আনতে চাই। এতে করে যুক্তিভিত্তিক চিন্তা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে আমরা দল-মত ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। গত ১৬ বছর আমরা মুক্তির জন্য লড়াই করেছি।’ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

তিনি বলেন, ‌‘সুষ্ঠু রাজনীতির যে চিন্তা, তার সবকিছু আমরা সৃজনশীলতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই। শিবির সবসময় সৃজনশীলতাকে প্রমোট করে, কারণ সুন্দর সমাজ, সুন্দর ক্যাম্পাস ও সুন্দর দেশ নির্মাণে এর ভূমিকা অপরিসীম।’

তিনি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যম, সিভিল সমাজ ও কিছু ব্যবসায়ী সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। মুখে মুক্তির কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্যাতন করার বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীও এর পেছনে ভূমিকা রেখেছিল।

ডাকসুর ভিপি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আজ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৫ আগস্টের পর সবাই বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু এর আগে এমন বয়ান তৈরি করা হয়েছিল যে, যদি কেউ শিবির করে, তার কোনো অধিকার থাকবে না।

গুম কমিশনের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত ও শিবির। একক সংগঠন হিসেবে বিএনপির পরেই শিবিরের অবস্থান।’

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বিষয়ে সাদিক কায়েম বলেন, “আমাদের প্রথম দাবি ছিল প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের আতুরঘর। এখানে জ্ঞান ও মেধা চর্চা হবে, জ্ঞান উৎপাদন হবে—যা সমগ্র সমাজের উন্নয়নে ‘হাব’ হিসেবে কাজ করবে।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. বিলাল হোসাইন বলেন, বিতর্ক মানুষকে ভাবতে শেখায়। আমার ব্যক্তিগত জীবনে দেখেছি বির্তক যারা করে তারা পরীক্ষার খাতায় ভালো করে এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পড়তে আসি মূলত একজন ভালো মানুষ তৈরি হতে। এটা করতে যদি বিশ্ববদ্যালয় ব্যর্থ হয় তাহলে তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে না। আমাদের হতে হবে জ্ঞাননির্ভর।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র শহিদ একরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ইতিহাস বিভাগ।

Please Share This Post in Your Social Media

বিতর্কের মাধ্যমে সমাজের সমস্যাগুলোকে সামনে আনতে চাই: সাদিক কায়েম

নাইমুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৩০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ডাকসুর ভিপি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘সুষ্ঠু রাজনীতি ও যৌক্তিক সমাজ গঠনের জন্য সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যৌক্তিক সমাজ গঠনের জন্য বিতর্কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিতর্কের মাধ্যমে সমাজের সমস্যাগুলোকে সামনে আনতে চাই। এতে করে যুক্তিভিত্তিক চিন্তা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে আমরা দল-মত ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। গত ১৬ বছর আমরা মুক্তির জন্য লড়াই করেছি।’ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

তিনি বলেন, ‌‘সুষ্ঠু রাজনীতির যে চিন্তা, তার সবকিছু আমরা সৃজনশীলতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই। শিবির সবসময় সৃজনশীলতাকে প্রমোট করে, কারণ সুন্দর সমাজ, সুন্দর ক্যাম্পাস ও সুন্দর দেশ নির্মাণে এর ভূমিকা অপরিসীম।’

তিনি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যম, সিভিল সমাজ ও কিছু ব্যবসায়ী সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। মুখে মুক্তির কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নির্যাতন করার বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীও এর পেছনে ভূমিকা রেখেছিল।

ডাকসুর ভিপি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আজ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৫ আগস্টের পর সবাই বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু এর আগে এমন বয়ান তৈরি করা হয়েছিল যে, যদি কেউ শিবির করে, তার কোনো অধিকার থাকবে না।

গুম কমিশনের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে জামায়াত ও শিবির। একক সংগঠন হিসেবে বিএনপির পরেই শিবিরের অবস্থান।’

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বিষয়ে সাদিক কায়েম বলেন, “আমাদের প্রথম দাবি ছিল প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের আতুরঘর। এখানে জ্ঞান ও মেধা চর্চা হবে, জ্ঞান উৎপাদন হবে—যা সমগ্র সমাজের উন্নয়নে ‘হাব’ হিসেবে কাজ করবে।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. বিলাল হোসাইন বলেন, বিতর্ক মানুষকে ভাবতে শেখায়। আমার ব্যক্তিগত জীবনে দেখেছি বির্তক যারা করে তারা পরীক্ষার খাতায় ভালো করে এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পড়তে আসি মূলত একজন ভালো মানুষ তৈরি হতে। এটা করতে যদি বিশ্ববদ্যালয় ব্যর্থ হয় তাহলে তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারবে না। আমাদের হতে হবে জ্ঞাননির্ভর।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র শহিদ একরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত পর্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ইতিহাস বিভাগ।