ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

সীমান্তে হামলায় পাকিস্তানের ২৩ সেনা নিহত, জবাবে ২০০ তালেবান হত্যার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫৫ Time View

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে চালানো হামলায় তালেবান হত্যার দাবি করেছে

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আফগান ভূখণ্ড থেকে চালানো অতর্কিত হামলায় পাকিস্তানের ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জবাবে পাল্টা অভিযানে ২০০ জনের বেশি তালেবান ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করেছে তারা। রোববার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতির বরাতে এই তথ্য জানায় দেশটির গণমাধ্যম ডন।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১১ ও ১২ অক্টোবরের রাতে আফগান তালেবান এবং ভারতীয় মদদপুষ্ট “ফিতনা আল খাওয়ারিজ” গোষ্ঠী বিনা উসকানিতে পাক-আফগান সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানে হামলা চালায়।’ এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে তারা বলেছে, সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির ‘হীন চক্রান্তের’ অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানের সতর্ক সশস্ত্র বাহিনী সীমান্তজুড়ে চালানো এই আক্রমণ প্রতিহত করেছে এবং তালেবান বাহিনী ও তাদের সহযোগী খাওয়ারিজদের ভারী ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।’

পাকিস্তানের দাবি, আফগান ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত তালেবান শিবির, সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’, ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ ও আইএসকেপি নেটওয়ার্কে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও স্থল হামলা চালানো হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, রাতভর এই সংঘর্ষে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে ‘পাকিস্তানের ২৩ জন সাহসী সন্তান শাহাদাতবরণ করেছেন’ এবং আরও ২৯ জন সেনা আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইএসপিআর দাবি করেছে, তাদের অভিযানে ২০০ জনের বেশি তালেবান ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী ‘নির্মূল’ হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এ ছাড়া সীমান্তজুড়ে তালেবানের একাধিক ঘাঁটি, শিবির ও সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় আফগান সীমান্তের অভ্যন্তরে ২১টি চৌকি সাময়িকভাবে দখল করার কথাও জানিয়েছে তারা। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই হামলার জন্য সরাসরি তালেবান সরকার ও ভারতকে দায়ী করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, এই গুরুতর উসকানিটি এমন সময়ে ঘটল যখন তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক ভারত সফরে রয়েছেন।’

আইএসপিআর আরও দাবি করে, ‘গত রাতের ঘটনা পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অবস্থানকেই প্রমাণ করে যে, তালেবান সরকার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে। যদি ভারত ও তালেবান সরকার জোটবদ্ধ হয়ে অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার এই হঠকারী চক্রান্ত চালিয়ে যায়, তবে আফগানিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসের এই হুমকি সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র ও এর জনগণ শান্ত হবে না।’ তালেবান সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ ও আইএসকেপির মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় পাকিস্তান তার জনগণের সুরক্ষায় সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখে।

Please Share This Post in Your Social Media

সীমান্তে হামলায় পাকিস্তানের ২৩ সেনা নিহত, জবাবে ২০০ তালেবান হত্যার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৯:১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আফগান ভূখণ্ড থেকে চালানো অতর্কিত হামলায় পাকিস্তানের ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জবাবে পাল্টা অভিযানে ২০০ জনের বেশি তালেবান ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করেছে তারা। রোববার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতির বরাতে এই তথ্য জানায় দেশটির গণমাধ্যম ডন।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১১ ও ১২ অক্টোবরের রাতে আফগান তালেবান এবং ভারতীয় মদদপুষ্ট “ফিতনা আল খাওয়ারিজ” গোষ্ঠী বিনা উসকানিতে পাক-আফগান সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানে হামলা চালায়।’ এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে তারা বলেছে, সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির ‘হীন চক্রান্তের’ অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানের সতর্ক সশস্ত্র বাহিনী সীমান্তজুড়ে চালানো এই আক্রমণ প্রতিহত করেছে এবং তালেবান বাহিনী ও তাদের সহযোগী খাওয়ারিজদের ভারী ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।’

পাকিস্তানের দাবি, আফগান ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত তালেবান শিবির, সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’, ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ ও আইএসকেপি নেটওয়ার্কে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও স্থল হামলা চালানো হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, রাতভর এই সংঘর্ষে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে ‘পাকিস্তানের ২৩ জন সাহসী সন্তান শাহাদাতবরণ করেছেন’ এবং আরও ২৯ জন সেনা আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইএসপিআর দাবি করেছে, তাদের অভিযানে ২০০ জনের বেশি তালেবান ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী ‘নির্মূল’ হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এ ছাড়া সীমান্তজুড়ে তালেবানের একাধিক ঘাঁটি, শিবির ও সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় আফগান সীমান্তের অভ্যন্তরে ২১টি চৌকি সাময়িকভাবে দখল করার কথাও জানিয়েছে তারা। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই হামলার জন্য সরাসরি তালেবান সরকার ও ভারতকে দায়ী করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, এই গুরুতর উসকানিটি এমন সময়ে ঘটল যখন তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক ভারত সফরে রয়েছেন।’

আইএসপিআর আরও দাবি করে, ‘গত রাতের ঘটনা পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অবস্থানকেই প্রমাণ করে যে, তালেবান সরকার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে। যদি ভারত ও তালেবান সরকার জোটবদ্ধ হয়ে অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার এই হঠকারী চক্রান্ত চালিয়ে যায়, তবে আফগানিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসের এই হুমকি সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্র ও এর জনগণ শান্ত হবে না।’ তালেবান সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ ও আইএসকেপির মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় পাকিস্তান তার জনগণের সুরক্ষায় সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখে।