সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সাদেকসহ তিন নার্সের বিরুদ্ধে মামলা

- Update Time : ০৬:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
- / ২০৩ Time View
সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৬ লাখ টাকাসহ দুই নার্সকে আটকের পর ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সেক্রেটারি ইসরাইল আলী সাদেককে। অপর দুই আসামি হলেন আটককৃত সিনিয়র নার্স আমিনুল ইসলাম ও সুমন। তাদের একজন জরুরি বিভাগে এবং অপরজন বহির্বিভাগে চাকরি করেন।
মামলাটি দায়ের করেছেন ওসমানীর ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ (৫৪)। তিনি বুধবার সকালে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর রাশেদ ফজল।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে একটি গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ সিনিয়র নার্স আমিনুল ইসলাম ও সুমনকে আটক করে।
হাসপাতালের পরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মাহবুবুল আলম ভুঁইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কর্মরত একজন সহকর্মীর এরিয়ার বিল সংক্রান্ত ব্যাপারে অবৈধ লেনদেন হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থাটি অভিযান চালায়। তারা জানতেন, লেনদেনের সময় ইসরাইল আলী সাদেক উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ধুর্ত সাদেক নিজে উপস্থিত না হয়ে আমিনুল ও সুমনের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের কাজটি সারতে চেয়েছিলেন। তবে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ইসরাইল আলী সাদেক ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য. সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে নানা দুর্ণীতি, অবৈধ লেনদেন ও মোটা অংকের চাঁদাবাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে সাদেকের সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা যায়। কিন্তু অত্যন্ত চতুর ও প্রভাবশালী এই নার্স নেতা বারবারই উর্ধ্বতন মহলে প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রেখেছেন। একসময় তার কিছু না থাকলেও এখন তিনি শ’শ’ কোটি টাকার মালিক বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়।