ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টিভি-নিউজ পোর্টালে হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ বিষয়ক ভিডিও প্রচারের অনুরোধ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সাবেক স্ত্রী মিমের ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন ইসরাইলকে বয়কট, নরওয়েজিয়ান কনফেডারেশনের প্রশংসায় হামাস হজের আনুষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা চালু করল সৌদি ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ব্যয় ১ বিলিয়ন ডলার! ‘বুনইয়ানুম মারসুস’ এর সাফল্য উদযাপনে ‘ইউমে তাশাক্কুর’ পালন করছে পাকিস্তান ভারতে ইউটিউব চ্যানেল ব্লক, আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা ইলিয়াসের আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে চীন ও পাকিস্তান আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত: নুর

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ না করেই ‘লোপাট’ ২১২ কোটি টাকা

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট থেকে
  • Update Time : ১২:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৮ Time View

সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ না করেই ২১২ কোটি টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উটেছে।

২০২০ সালে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুরু হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে। কিন্তু সাড়ে ৪ বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২২ ভাগ। অথচ কাজ না করেই ২১২ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

এমন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার মামলা দায়ের করেছে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন
প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে ২ হাজার ১১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও দেশি-বিদেশি ফ্লাইট চালুর জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ২৭ মের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সাড়ে ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। বরং কাজ না করেই অগ্রিম বিল হিসেবে ২১২ কোটি টাকা ছাড় করিয়ে নেয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মামলায় আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আনাম, পরিচালক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, প্রকল্প পরিচালক মইদুর রহমান মো. মওদুদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব শাহ জুলফিকার হায়দার (বর্তমানে উপ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) এবং সাবেক যুগ্মসচিব মো. আনিছুর রহমান (বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এমেজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজে স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে বেআইনি সুবিধা নিয়ে ও দিয়ে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কো-কন্ট্রাকটর হয়ে কার্যাদেশ পেয়ে তা বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকে। অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড দেশের বিমানবন্দরগুলোর কোনও প্রকল্পে সরাসরি, আবার কোনও প্রকল্পে বিদেশি কোম্পানির লোকাল এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করে পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক কাজে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে সম্পৃক্ত করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাজিফ আহমদ জানান, ২০২০ সালে শুরু হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্পের ২২ ভাগের চেয়ে একটু বেশি কাজ শেষ হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেহেতু একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ না করেই ‘লোপাট’ ২১২ কোটি টাকা

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট থেকে
Update Time : ১২:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ না করেই ২১২ কোটি টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উটেছে।

২০২০ সালে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুরু হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে। কিন্তু সাড়ে ৪ বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২২ ভাগ। অথচ কাজ না করেই ২১২ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

এমন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার মামলা দায়ের করেছে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন
প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে ২ হাজার ১১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও দেশি-বিদেশি ফ্লাইট চালুর জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ২৭ মের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সাড়ে ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। বরং কাজ না করেই অগ্রিম বিল হিসেবে ২১২ কোটি টাকা ছাড় করিয়ে নেয়া হয়েছে। এই অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মামলায় আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, বেবিচকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আনাম, পরিচালক লুৎফুল্লাহ মাজেদ, প্রকল্প পরিচালক মইদুর রহমান মো. মওদুদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব শাহ জুলফিকার হায়দার (বর্তমানে উপ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) এবং সাবেক যুগ্মসচিব মো. আনিছুর রহমান (বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এমেজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজে স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে বেআইনি সুবিধা নিয়ে ও দিয়ে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কো-কন্ট্রাকটর হয়ে কার্যাদেশ পেয়ে তা বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকে। অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড দেশের বিমানবন্দরগুলোর কোনও প্রকল্পে সরাসরি, আবার কোনও প্রকল্পে বিদেশি কোম্পানির লোকাল এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করে পরস্পর যোগসাজশে প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক কাজে অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে সম্পৃক্ত করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাজিফ আহমদ জানান, ২০২০ সালে শুরু হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্পের ২২ ভাগের চেয়ে একটু বেশি কাজ শেষ হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেহেতু একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।