ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে কুবিতে মানববন্ধন 

সিলেটে সাড়ে ৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের পদ শুন্যঃ ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট থেকে
  • Update Time : ০৫:০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৯ Time View

প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে সিলেট অঞ্চলের ১ হাজার ২৯১টি সরকারী প্রাথমিক স্কুল। এসব স্কুলে ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে কার্যক্রম। এছাড়া ২ হাজার ২০৯টি সহকারী শিক্ষকের পদও শুন্য রয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান, ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে।জোড়াতালি দিয়ে চলছে সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। এরপরও শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় নানা কাজ চালাতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের বারোটা বাজছে সিলেট অঞ্চলের।

প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট বিভাগীয় অফিস জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের হিসেব অনুযায়ী সিলেট বিভাগের চার জেলার ৫ হাজার ৫৪টি বিদ্যালয়ে মোট সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৯১টি প্রধান শিক্ষক ও ২ হাজার ২০৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এছাড়া বিভাগের ৪ জেলায় অফিস সহকারী, এমএলএসএস ও নৈশপ্রহরীসহ আরো সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে।

বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায,জানুয়ারী মাসের হিসেবে অনুযায়ী সিলেট অঞ্চলে ২৫ হাজার ৮৯১ জন সহকারী শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ২৩ হাজার ৬৮২ জন। এরমধ্যে খালি রয়েছে ২ হাজার ২০৯টি পদ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট জেলায় ৭ হাজার ৯৪৪টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৬২৪টি, সুনামগঞ্জে ৭ হাজার ২৬০টি পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৮৭২টি, হবিগঞ্জে ৫ হাজার ২২৪টি পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৩০৮টি ও মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ৩৩৯টি পদের বিপরীতে ৩১৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ৫৪টি প্রধান শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৩ হাজার ৭৬৩ জন।

এরমধ্যে ১ হাজার ২৯১টি পদ খালি রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি পদের বিপরীতে খালি রয়েছে ৪৬৪টি, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৪৭৫টির পদের বিপরীতে ৩৫১টি, হবিগঞ্জে ১ হাজার ৫২টি পদের বিপরীতে ২৫৬টি ও মৌলভীবাজারে ১ হাজার ৫০টি পদের বিপরীতে ৩৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চার পাঁচ বছর ধরে সহকারি শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।তারা প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত সুবিধা না পেয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যা অমানবিক বলে অনেকে মনে করেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, একসাথে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ খালি থাকায় পাঠদান চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত শিক্ষকদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান, ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুন্যপদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ।

এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, অবসরজনিত কারণে প্রতিমাসেই সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য হয়ে থাকে। কোন ক্ষেত্রেই শুন্যপদ থাকা কাম্য নয়। আর প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শীঘ্রই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটা কেন্দ্রীয়ভাবে হয়। তাই বিভাগীয়ভাবে আমাদের কিছু করার থাকেনা। বর্তমানে নন-ক্যাডার থেকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া পদোন্নতির মাধ্যমে কিছু পদ পূরণ করার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধিন।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে সাড়ে ৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের পদ শুন্যঃ ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট থেকে
Update Time : ০৫:০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে সিলেট অঞ্চলের ১ হাজার ২৯১টি সরকারী প্রাথমিক স্কুল। এসব স্কুলে ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে কার্যক্রম। এছাড়া ২ হাজার ২০৯টি সহকারী শিক্ষকের পদও শুন্য রয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান, ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে।জোড়াতালি দিয়ে চলছে সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। এরপরও শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় নানা কাজ চালাতে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের বারোটা বাজছে সিলেট অঞ্চলের।

প্রাথমিক শিক্ষা সিলেট বিভাগীয় অফিস জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের হিসেব অনুযায়ী সিলেট বিভাগের চার জেলার ৫ হাজার ৫৪টি বিদ্যালয়ে মোট সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৯১টি প্রধান শিক্ষক ও ২ হাজার ২০৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এছাড়া বিভাগের ৪ জেলায় অফিস সহকারী, এমএলএসএস ও নৈশপ্রহরীসহ আরো সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে।

বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায,জানুয়ারী মাসের হিসেবে অনুযায়ী সিলেট অঞ্চলে ২৫ হাজার ৮৯১ জন সহকারী শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ২৩ হাজার ৬৮২ জন। এরমধ্যে খালি রয়েছে ২ হাজার ২০৯টি পদ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট জেলায় ৭ হাজার ৯৪৪টি সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৬২৪টি, সুনামগঞ্জে ৭ হাজার ২৬০টি পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৮৭২টি, হবিগঞ্জে ৫ হাজার ২২৪টি পদের বিপরীতে শুন্য রয়েছে ৩০৮টি ও মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ৩৩৯টি পদের বিপরীতে ৩১৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ৫৪টি প্রধান শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৩ হাজার ৭৬৩ জন।

এরমধ্যে ১ হাজার ২৯১টি পদ খালি রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি পদের বিপরীতে খালি রয়েছে ৪৬৪টি, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৪৭৫টির পদের বিপরীতে ৩৫১টি, হবিগঞ্জে ১ হাজার ৫২টি পদের বিপরীতে ২৫৬টি ও মৌলভীবাজারে ১ হাজার ৫০টি পদের বিপরীতে ৩৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চার পাঁচ বছর ধরে সহকারি শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।তারা প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত সুবিধা না পেয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যা অমানবিক বলে অনেকে মনে করেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, একসাথে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ খালি থাকায় পাঠদান চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত শিক্ষকদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান, ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষা কার্যক্রমে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুন্যপদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ।

এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, অবসরজনিত কারণে প্রতিমাসেই সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য হয়ে থাকে। কোন ক্ষেত্রেই শুন্যপদ থাকা কাম্য নয়। আর প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শীঘ্রই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটা কেন্দ্রীয়ভাবে হয়। তাই বিভাগীয়ভাবে আমাদের কিছু করার থাকেনা। বর্তমানে নন-ক্যাডার থেকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া পদোন্নতির মাধ্যমে কিছু পদ পূরণ করার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধিন।