ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া তানভীর স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি

মোঃ মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৪২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১৪ Time View

সিলেটে র‌্যাব-৯ এর হেফাজতে থাকা তানভীর চৌধুরী গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র‌্যাব সূত্র জানায়, নওগাঁয় আদালতে যাওয়ার পথে স্ত্রীকে হত্যা করে সিলেটে আত্মগোপনে ছিলেন তানভীর চৌধুরী। হত্যার দুইদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চৈলাখেল নিজপাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে রাখা হয় র‌্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে। পরদিন রোববার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব জানায়, গলায় কম্বল পেঁচিয়ে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এরপর সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তানভীর গাজী পুরের কাশিম পুর উপজেলার সারদাগঞ্জ গ্রামের বাবুল চৌধুরীর পুত্র ও নওগাঁ সদর উপজেলার শালুকা সরকার পাড়ার জ্যোতির স্বামী।
র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, তানভীর চৌধুরীকে তার স্ত্রী হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের আগে তাকে র‌্যাবের হেফাজতে রাখা হয়। রোববার সকালে আত্মহত্যার বিষয়টি জানার পর পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরো জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে,তানভীর গায়ে দেওয়ার জন্য তাকে দেওয়া কম্বল পেঁচিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। র‌্যাব জানিয়েছে, জ্যোতি তার প্রথম স্বামীকে নিয়ে গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে গাজীপুরে থাকতেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে তানভীরের কাপড়ের দোকান ছিল। কাপড় কিনতে গিয়ে সম্পর্কে হয় তানভীর ও জ্যোতির। পরে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি বিয়ে করেন তানভীরকে। আগের বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি জানার পর জ্যোতির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেন তানভীর। এ ঘটনায় নওগাঁ আদালতে তানভীরের বিরুদ্ধে যৌতুক ও খোর পোষের মামলা করেন জ্যোতি। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে তানভীরসহ কয়েকজন জ্যোতিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তারা জ্যোতিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরদিন তানভীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন জ্যোতির মা। মামলার পর সিলেটে পালিয়ে যান তানভীর। র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-৯ যৌথ অভিযান করে তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু নওগাঁ থানার হস্তান্তরের আগেই আত্মহত্যা করেন তানভীর।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া তানভীর স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি

মোঃ মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৪২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটে র‌্যাব-৯ এর হেফাজতে থাকা তানভীর চৌধুরী গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র‌্যাব সূত্র জানায়, নওগাঁয় আদালতে যাওয়ার পথে স্ত্রীকে হত্যা করে সিলেটে আত্মগোপনে ছিলেন তানভীর চৌধুরী। হত্যার দুইদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চৈলাখেল নিজপাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে রাখা হয় র‌্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে। পরদিন রোববার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব জানায়, গলায় কম্বল পেঁচিয়ে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এরপর সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তানভীর গাজী পুরের কাশিম পুর উপজেলার সারদাগঞ্জ গ্রামের বাবুল চৌধুরীর পুত্র ও নওগাঁ সদর উপজেলার শালুকা সরকার পাড়ার জ্যোতির স্বামী।
র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, তানভীর চৌধুরীকে তার স্ত্রী হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের আগে তাকে র‌্যাবের হেফাজতে রাখা হয়। রোববার সকালে আত্মহত্যার বিষয়টি জানার পর পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরো জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে,তানভীর গায়ে দেওয়ার জন্য তাকে দেওয়া কম্বল পেঁচিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। র‌্যাব জানিয়েছে, জ্যোতি তার প্রথম স্বামীকে নিয়ে গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে গাজীপুরে থাকতেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে তানভীরের কাপড়ের দোকান ছিল। কাপড় কিনতে গিয়ে সম্পর্কে হয় তানভীর ও জ্যোতির। পরে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি বিয়ে করেন তানভীরকে। আগের বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি জানার পর জ্যোতির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেন তানভীর। এ ঘটনায় নওগাঁ আদালতে তানভীরের বিরুদ্ধে যৌতুক ও খোর পোষের মামলা করেন জ্যোতি। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে তানভীরসহ কয়েকজন জ্যোতিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তারা জ্যোতিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরদিন তানভীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন জ্যোতির মা। মামলার পর সিলেটে পালিয়ে যান তানভীর। র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-৯ যৌথ অভিযান করে তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু নওগাঁ থানার হস্তান্তরের আগেই আত্মহত্যা করেন তানভীর।