ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে ব্যবসায়ী লিলু হত্যা মামলার প্রধান আসামী পিবিআই’র জালে

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৫:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৯০ Time View

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক মাহবুবুর রহমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তিনি সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার ধোপাকলা গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র। গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) ও অন্যান্য আলামত উদ্ধারের মাধ্যমে পিবিআই ঘটনার প্রায় ৪ মাসের মধ্যে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত করতে সক্ষম হয়েছে।

হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য পিবিআই অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ঘাতক মাহবুবুর রহমানকে গত ৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার (মাহবুবুর) নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ঘাতক মাহবুবুর রহমান পিবিআই’র কর্মকর্তাদের কাছে হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে।

এরপর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুরকে নিয়ে নিহত ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলুর গ্রামে (রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রাম) এসে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও আসামির জুতা উদ্ধার করে পিবিআই।

পিবিআই’র এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাবাদের তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) ও আসামির জুতাসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে আমরা তার (মাহবুবুর) কাছ থেকে জানতে পেরেছি ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু’কে হত্যা করার জন্য গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুর রহমানকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক মাহবুবুর রহমানকে গত ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাতে নিজ গ্রামের মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।হত্যাকান্ডের পর নিহত ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলুর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত দিয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯ (তাং ১৬.০৮.২০২৪ইং)।

থানা পুলিশ নওধার গ্রামের আজমল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে, কিন্তু তার নিকট থেকে হত্যাকান্ডের তেমন কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছিল।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে ব্যবসায়ী লিলু হত্যা মামলার প্রধান আসামী পিবিআই’র জালে

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০৫:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক মাহবুবুর রহমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তিনি সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার ধোপাকলা গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র। গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) ও অন্যান্য আলামত উদ্ধারের মাধ্যমে পিবিআই ঘটনার প্রায় ৪ মাসের মধ্যে ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচিত করতে সক্ষম হয়েছে।

হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য পিবিআই অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ঘাতক মাহবুবুর রহমানকে গত ৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার (মাহবুবুর) নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ঘাতক মাহবুবুর রহমান পিবিআই’র কর্মকর্তাদের কাছে হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে।

এরপর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুরকে নিয়ে নিহত ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলুর গ্রামে (রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রাম) এসে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও আসামির জুতা উদ্ধার করে পিবিআই।

পিবিআই’র এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাবাদের তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র (দা) ও আসামির জুতাসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে আমরা তার (মাহবুবুর) কাছ থেকে জানতে পেরেছি ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু’কে হত্যা করার জন্য গ্রেপ্তারকৃত মাহবুবুর রহমানকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক মাহবুবুর রহমানকে গত ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাতে নিজ গ্রামের মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।হত্যাকান্ডের পর নিহত ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলুর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত দিয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯ (তাং ১৬.০৮.২০২৪ইং)।

থানা পুলিশ নওধার গ্রামের আজমল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে, কিন্তু তার নিকট থেকে হত্যাকান্ডের তেমন কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছিল।

নওরোজ/এসএইচ