ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোরিকশা চালকদের ব্যাপক সংঘর্ষ

মো: মুহিবুর রহমান,সিলেট
  • Update Time : ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৩ Time View

সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী এবং সিনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন এবং ২৫-৩০টি গাড়ি ও ৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তায় অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী উঠানো-নামানো নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এছাড়া সিলেটে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা তিন থেক চারগুন বেশী ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে জোড় পূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। তাদের ভাড়ার কোন তালিকা নেই। প্রশাসনের সাথে আতাত করে তাদের নেতারা এসব অপকর্ম করছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ছাএ জনতাকে নিয়ে এসব সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের দৌরাত্ব বন্ধ না করলে তারা জনগনের সাথে প্রায় সময় ভাড়া নিয়ে প্রতারনাসহ ঝগড়া বিবাদে লিপ্। এছাড়া সিলেটে রাস্তায় অতিরিক্ত সিএনজি অটোরিক্সা থাকায় টাউন বাস চলাচল করতে পারেনা। সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা

তাদের চালাচলে বাধা সৃষ্টিসহ মারধর করেন।গত করোনার আগ থেকে তারা ইচ্ছামত যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মার্কেটের সামনে একটি অটোরিকশা যাত্রী নামিয়ে ভাড়া নিতে গেলে ব্যবসায়ীরা গাড়ি সরাতে বলেন। এসময় ওই অটোচালক ও ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডা শুরু হলে কয়েকজন অটোচালক জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের দিকে মারমুখী হন এবং দুপক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে কিছুক্ষণ পর দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এবং অটোচালকরা পিছু হটেন। এর কিছুক্ষণ পর ফের তাদের ধাওয়া করে বন্দরবাজার ছাড়া করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় অজস্র ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ব্যবসায়ীরা। এই হাতাহাতি, ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করেন অটোচালকরা।

অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা প্রাইভেটকার ও অটো রিকশাসহ ২৫-৩০টি ঘড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন। এদিকে, ঘটনার পর থেকে বন্দরবাজার এলাকা অবরোধ করে রাখেন অটোরিকশাচালকরা।

বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী ও অটোচলকরা করেছেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। ব্যবসায়ীরা বলছেন- তারা দীর্ঘদিন ধরে সিটি মার্কেটের সামনে অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী উঠানো-নামানো না করতে নিষেধ করছেন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও দিয়েছে এমন নির্দেশনা। কিন্তু কোনো নির্দেশনা না মেনে অটোচালকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিটি মার্কেট, সিটি করপোরেশন, কুদরত উল্লাহ মসজিদ মার্কেট ও পোস্ট অফিসের সামনে সড়ক দখল করে পার্কিং করে রাখে, করে যাত্রী উঠা-নামা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে অটোচালকরা মারমুখী আচরণ করে এবং সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করে।

অপরদিকে অটোচালকরা বলছেন- তারা বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা বৈঠক চাচ্ছিলেন। এরই মাঝে ব্যবসায়ীরা তাদের উপর হামলা করেছেন। এর সঠিক জবাব না দেওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখবেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম (সদর ও প্রশাসন, অতিরিক্ত দায়িত্ব- উত্তর) জানান- খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন দুপক্ষকে নিয়ে পুলিশ বৈঠকে বসবে। জনগণের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোরিকশা চালকদের ব্যাপক সংঘর্ষ

মো: মুহিবুর রহমান,সিলেট
Update Time : ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী এবং সিনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন এবং ২৫-৩০টি গাড়ি ও ৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তায় অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী উঠানো-নামানো নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এছাড়া সিলেটে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা তিন থেক চারগুন বেশী ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে জোড় পূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। তাদের ভাড়ার কোন তালিকা নেই। প্রশাসনের সাথে আতাত করে তাদের নেতারা এসব অপকর্ম করছেন। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ছাএ জনতাকে নিয়ে এসব সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের দৌরাত্ব বন্ধ না করলে তারা জনগনের সাথে প্রায় সময় ভাড়া নিয়ে প্রতারনাসহ ঝগড়া বিবাদে লিপ্। এছাড়া সিলেটে রাস্তায় অতিরিক্ত সিএনজি অটোরিক্সা থাকায় টাউন বাস চলাচল করতে পারেনা। সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা

তাদের চালাচলে বাধা সৃষ্টিসহ মারধর করেন।গত করোনার আগ থেকে তারা ইচ্ছামত যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মার্কেটের সামনে একটি অটোরিকশা যাত্রী নামিয়ে ভাড়া নিতে গেলে ব্যবসায়ীরা গাড়ি সরাতে বলেন। এসময় ওই অটোচালক ও ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডা শুরু হলে কয়েকজন অটোচালক জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের দিকে মারমুখী হন এবং দুপক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে কিছুক্ষণ পর দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এবং অটোচালকরা পিছু হটেন। এর কিছুক্ষণ পর ফের তাদের ধাওয়া করে বন্দরবাজার ছাড়া করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় অজস্র ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ব্যবসায়ীরা। এই হাতাহাতি, ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করেন অটোচালকরা।

অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা প্রাইভেটকার ও অটো রিকশাসহ ২৫-৩০টি ঘড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন। এদিকে, ঘটনার পর থেকে বন্দরবাজার এলাকা অবরোধ করে রাখেন অটোরিকশাচালকরা।

বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী ও অটোচলকরা করেছেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। ব্যবসায়ীরা বলছেন- তারা দীর্ঘদিন ধরে সিটি মার্কেটের সামনে অটোরিকশা পার্কিং ও যাত্রী উঠানো-নামানো না করতে নিষেধ করছেন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও দিয়েছে এমন নির্দেশনা। কিন্তু কোনো নির্দেশনা না মেনে অটোচালকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিটি মার্কেট, সিটি করপোরেশন, কুদরত উল্লাহ মসজিদ মার্কেট ও পোস্ট অফিসের সামনে সড়ক দখল করে পার্কিং করে রাখে, করে যাত্রী উঠা-নামা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে অটোচালকরা মারমুখী আচরণ করে এবং সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করে।

অপরদিকে অটোচালকরা বলছেন- তারা বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা বৈঠক চাচ্ছিলেন। এরই মাঝে ব্যবসায়ীরা তাদের উপর হামলা করেছেন। এর সঠিক জবাব না দেওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখবেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম (সদর ও প্রশাসন, অতিরিক্ত দায়িত্ব- উত্তর) জানান- খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন দুপক্ষকে নিয়ে পুলিশ বৈঠকে বসবে। জনগণের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে পুলিশ।