ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

সিলেটে পানি আরও কমছে, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র

মো.মুহিবুুর রহমান,সিলেট
  • Update Time : ০৬:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • / ৯২ Time View

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি না হওয়ায় আজ পানি আরও কমেছে। এ অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ গোয়ানঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ সময় পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ জন বন্যা কবলিত। এর মধ্যে মহানগরে ১৫ হাজার। বর্তমানে মহানগরের ৮টি ওয়ার্ড জেলার ১০৭টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়েছে। সিলেটে বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১৯ হাজার ৭৩৮জন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র। তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সিলেট মহানগরেরও বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামছে। তবে অনেক নিচু এলাকার সডক ও বাসাবাড়ি থেকে পুরোপুরি পানি নামেনি এখনো।

অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লোকালয় থেকে পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বসতবাড়িতে ফিরছেন বাসিন্দারা। তবে যারা বাড়ি ফিরেছেন তারা পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। বন্যার্তরা জানিয়েছেন, পানি কমার সাথে সাথে দুর্ভোগও বাড়ছে বাসিন্দাদের। অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। রান্না-বান্নায় ও কষ্ট হচ্ছে বন্যার্তনের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা কবলিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাব। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যেসব ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় কম। বিশুদ্ধ পানির সংকটও রয়েছে এলাকাগুলোতে। গবাদি পশুর খাবার নিয়েও বিপাকে রয়েছেন অনেকে। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন ফের কবলিত হয় সিলেট।

ঈদুল আযহার দিন (১৭ জুন) ভোররাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সঙ্গে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। পুরো জেলায় বিস্তৃৃতি ঘটে বন্যার। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। এ অবস্থা চলমান থাকে পরবর্তী ৩ দিন। একপর্যায়ে সিলেটজুড়ে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১০ লাখে।

তবে গত তিন দিন ধরে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হচ্ছে। এদিকে,পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকা সাপেক্ষে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ উপজেলা পর্যটন কমিটি জাফলং পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে গত শুক্র ও শনিবার দুই দফা গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভুমি)সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে। তবে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সকল বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদেরকে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনাহ সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে আজ দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সকলকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’ বন্যা দেখা দেওয়ায় গত ১৭ জুন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র রোববার বিকাল ৩টায় জানিয়েছে, এ সময় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। তবে এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে রয়েছে বিপৎসীমার নিচে। একই সময়ে কুশিয়ার নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯ ও শেরপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বন্যার পানি ধীরে নামার কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান- ফেঞ্চুগঞ্জের উজানে রয়েছে জুড়ী নদী। এছাড়া মনু নদীও কুশিয়ারার শেরপুরে এসে যুক্ত হয়েছে। ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি নামছে ধীর গতিতে। তাছাড়া ডাউন-স্ট্রিম এর প্রায় সব এলাকা প্লাবিত। এটাও বন্যার পানি ধীর গতিতে নামার একটি কারণ। তবে বৃষ্টিপাত না হলে ও সিলেট অঞ্চলে প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমা অব্যাহত থাকবে।

সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে আগামী ২৮ জুন থেকে সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন- গত শুক্রবার থেকে কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় ঘণ্টায় ৬শ’ লিটার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে বিভিন্ন আশ্রয়

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে পানি আরও কমছে, খুলছে পর্যটন কেন্দ্র

মো.মুহিবুুর রহমান,সিলেট
Update Time : ০৬:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি না হওয়ায় আজ পানি আরও কমেছে। এ অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ গোয়ানঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ সময় পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ জন বন্যা কবলিত। এর মধ্যে মহানগরে ১৫ হাজার। বর্তমানে মহানগরের ৮টি ওয়ার্ড জেলার ১০৭টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়েছে। সিলেটে বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১৯ হাজার ৭৩৮জন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র। তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সিলেট মহানগরেরও বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামছে। তবে অনেক নিচু এলাকার সডক ও বাসাবাড়ি থেকে পুরোপুরি পানি নামেনি এখনো।

অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লোকালয় থেকে পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বসতবাড়িতে ফিরছেন বাসিন্দারা। তবে যারা বাড়ি ফিরেছেন তারা পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। বন্যার্তরা জানিয়েছেন, পানি কমার সাথে সাথে দুর্ভোগও বাড়ছে বাসিন্দাদের। অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। রান্না-বান্নায় ও কষ্ট হচ্ছে বন্যার্তনের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা কবলিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাব। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যেসব ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় কম। বিশুদ্ধ পানির সংকটও রয়েছে এলাকাগুলোতে। গবাদি পশুর খাবার নিয়েও বিপাকে রয়েছেন অনেকে। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ১৫ জুন ফের কবলিত হয় সিলেট।

ঈদুল আযহার দিন (১৭ জুন) ভোররাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সঙ্গে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। পুরো জেলায় বিস্তৃৃতি ঘটে বন্যার। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। এ অবস্থা চলমান থাকে পরবর্তী ৩ দিন। একপর্যায়ে সিলেটজুড়ে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১০ লাখে।

তবে গত তিন দিন ধরে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হচ্ছে। এদিকে,পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকা সাপেক্ষে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও রাতারগুর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ উপজেলা পর্যটন কমিটি জাফলং পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে গত শুক্র ও শনিবার দুই দফা গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভুমি)সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম পর্যটনকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে। তবে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সকল বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদেরকে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনাহ সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে আজ দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক, ট্যুর অপারেটর ও নৌকার মাঝিসহ সকলকে অবশ্যই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’ বন্যা দেখা দেওয়ায় গত ১৭ জুন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র রোববার বিকাল ৩টায় জানিয়েছে, এ সময় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। তবে এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে রয়েছে বিপৎসীমার নিচে। একই সময়ে কুশিয়ার নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৯ ও শেরপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বন্যার পানি ধীরে নামার কারণ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান- ফেঞ্চুগঞ্জের উজানে রয়েছে জুড়ী নদী। এছাড়া মনু নদীও কুশিয়ারার শেরপুরে এসে যুক্ত হয়েছে। ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি নামছে ধীর গতিতে। তাছাড়া ডাউন-স্ট্রিম এর প্রায় সব এলাকা প্লাবিত। এটাও বন্যার পানি ধীর গতিতে নামার একটি কারণ। তবে বৃষ্টিপাত না হলে ও সিলেট অঞ্চলে প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমা অব্যাহত থাকবে।

সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে আগামী ২৮ জুন থেকে সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন- গত শুক্রবার থেকে কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় ঘণ্টায় ৬শ’ লিটার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে বিভিন্ন আশ্রয়