ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে কাজে ফিরলেও ধোঁয়াশায় এনটিসির শ্রমিকেরা

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৯ Time View

দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাওয়ার পর গত ৯ ডিসেম্বর থেকে কাজে ফিরেন ন্যাশনাল টি কোম্পানি-এনটিসির সবকটি বাগানের শ্রমিকেরা। তবে এখনও বকেয়া রয়েছে ৪ দুই সপ্তাহের মজুরি। মেলেনি প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদাও। যার ফলে ধোঁয়াশায় রয়েছেন এনটিসির হাজারও শ্রমিক।

বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন তারা। এর আগে চা শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে এক মাসেরও বেশি সময় কর্মবিরতি পালন করেন তার। এর ফলে এ বাগানগুলো অচল হয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে পড়ে এনটিসির মালিকানাধীন সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের ১২টি বাগান।

লাক্কাতুরা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিপন গোয়ালা জানান, দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাওয়ার পর শ্রমিকরা কাজে ফিরেন। তবে এখনো বকেয়া রয়েছে ৪ দুই সপ্তাহের মজুরি। এছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদা কবে পাবো সেটা বলা হয়নি। দৈনিক মজুরি ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে এটি বাতিল করে দৈনিক নগদ মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে যে টাকা আছে তা দিয়ে আগামী ৫ মাসের বেতন দেওয়া যাবে। আগামী মার্চে সকল বকেয়া পরিশোধ করে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে তাদের কথা আমাদের বিশ্বাস হয় না।

ন্যাশনাল টি কোম্পানি লক্কাতুরা ম্যানেজার আক্তার শহীদ জানান, শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। তবে তাদের বকেয়া রয়েছে ৪ দুই সপ্তাহের মজুরি। এগুলো কিভাবে পরিশোধ করা যায় সে জন্য মৌলভীবাজারে মিটিং করা হয়েছে। এনটিসির এমডিকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে শিঘ্রই এগুলো পরিশোধ করা হবে।

এদিকে এনটিসির মালিকানাধিন বাগানের শ্রমিকদের দাবি তাদের বকেয়া বেতনসহ বকেয়া ফান্ডের চাঁদার টাকাও পরিশোধ করার দাবী জানান শ্রমিকরা।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে কাজে ফিরলেও ধোঁয়াশায় এনটিসির শ্রমিকেরা

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাওয়ার পর গত ৯ ডিসেম্বর থেকে কাজে ফিরেন ন্যাশনাল টি কোম্পানি-এনটিসির সবকটি বাগানের শ্রমিকেরা। তবে এখনও বকেয়া রয়েছে ৪ দুই সপ্তাহের মজুরি। মেলেনি প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদাও। যার ফলে ধোঁয়াশায় রয়েছেন এনটিসির হাজারও শ্রমিক।

বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন তারা। এর আগে চা শ্রমিকরা মজুরি না পেয়ে এক মাসেরও বেশি সময় কর্মবিরতি পালন করেন তার। এর ফলে এ বাগানগুলো অচল হয়ে পড়ে। স্থবির হয়ে পড়ে এনটিসির মালিকানাধীন সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের ১২টি বাগান।

লাক্কাতুরা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিপন গোয়ালা জানান, দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পাওয়ার পর শ্রমিকরা কাজে ফিরেন। তবে এখনো বকেয়া রয়েছে ৪ দুই সপ্তাহের মজুরি। এছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদা কবে পাবো সেটা বলা হয়নি। দৈনিক মজুরি ৮ টাকা ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে এটি বাতিল করে দৈনিক নগদ মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে যে টাকা আছে তা দিয়ে আগামী ৫ মাসের বেতন দেওয়া যাবে। আগামী মার্চে সকল বকেয়া পরিশোধ করে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে তাদের কথা আমাদের বিশ্বাস হয় না।

ন্যাশনাল টি কোম্পানি লক্কাতুরা ম্যানেজার আক্তার শহীদ জানান, শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। তবে তাদের বকেয়া রয়েছে ৪ দুই সপ্তাহের মজুরি। এগুলো কিভাবে পরিশোধ করা যায় সে জন্য মৌলভীবাজারে মিটিং করা হয়েছে। এনটিসির এমডিকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে শিঘ্রই এগুলো পরিশোধ করা হবে।

এদিকে এনটিসির মালিকানাধিন বাগানের শ্রমিকদের দাবি তাদের বকেয়া বেতনসহ বকেয়া ফান্ডের চাঁদার টাকাও পরিশোধ করার দাবী জানান শ্রমিকরা।

নওরোজ/এসএইচ