ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেটে আজহারীর মাহফিলে মোবাইল ও স্বর্ণ চুরি, জিডির সংখ্যা বেড়ে ৭৪

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট থেকে
- Update Time : ০৮:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৮৪ Time View
সিলেট নগরীর মুরারী চাঁদ কলেজ মাঠে ডক্টর মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিয়ে মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার হারিয়েছেন অনেকে। চুরির অভিযোগে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৭৪ জন থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি) ও দুজন মামলা করেছেন। চুরির অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।
গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার এমসি কলেজ মাঠে তিনদিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে আনজুমানে খেদমতে কোরআন নামের একটি সংগঠন। এতে শেষদিনে (শনিবার) সমাপনী বক্তব্য পেশ করেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তবে উপস্থিত কিছু দর্শক বিশৃঙ্খলা করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বয়ান শেষ করতে হয় আজহারিকে। বিশৃঙ্খলা নিয়ে মাহফিলের মাইকে ক্ষোভও প্রকাশ করেন আজহারি।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, মাহফিলের তিন দিনই মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। তবে শেষদিনে আজহারির ওয়াজের সময় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটায় চুরির ঘটনাও অনেক বেড়ে যায়। শেষদিনে শতাধিক ব্যক্তি মোবাইল চুরির অভিযোগ করেন বলে জানান আয়োজকরা।
পুলিশ সুত্র জানায়, মাহফিলে আসাদের মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে সোমবার দুপুর পর্যন্ত নগরের শাহপরান থানায় ৭৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ডায়রিতে স্বর্ণ চুরির ও অভিযোগ করেছেন অনেকে। এদিকে, গত শনি ও রোববার চার নারীকে স্বর্ণ ও ছয় পুরুষকে মোবাইল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট মহানগর অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে মোবাইল ফোন খোয়া যাওয়ার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। এসব অভিযোগে এ পর্যন্ত ৭৪ টি জিডি ও দুটি চুরির মামলা দায়ের হয়েছে। আরও অনেকে জিডি করার জন্য আসছেন। তিনি বলেন, চুরির ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে লুৎফুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক লেখেন, ‘মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারির ওয়াজে যাওয়ার সময় আমার স্যামসাং গ্যালাক্সি এ-৩৪ হ্যান্ডসেট চুরি হয়ে গেছে’।
এই মাহফিলের শেষ দিনে মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও তাফসীর পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, ড. অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতী মাওলানা আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তাফসীর পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়খ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এএইচএম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।
মাহফিলে প্রস্তাবনা পেশ করেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন। এর আগে মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আলোচনা পেশ করেন শায়েখ শাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদী পুত্র শামীম বিন সাঈদী, শায়খ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, ক্বারী মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর প্রমূখ।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়