ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুরমা নদী পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট
  • Update Time : ০৫:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • / ৫৭ Time View

সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেট নগরীর ক্বীণ ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে সিলেট—সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা কিভাবে সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসতে পারি সে লক্ষে আমরা আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে সুরমা নদীর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বাকিটুকু খনন করা হবে। এছাড়াও সামগ্রীক ভাবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খনন করবো। সুনামগঞ্জের ছোট বড় ২০টি নদী আমরা খনন করবো। এ খনন কাজ করলে নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে আমি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছি। উজান থেকে যে পরিমাণ পানি আসে তার ধারন করার ক্ষমতা তৈরি করার জন্য যে সকল নদী ও খাল খনন করার দরকার সে বিষয়ে সিলেটের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যার খোঁজখবর রাখছেন। তিনি আমাকে সব সময় সজাগ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার আসার আগে এই সিলেটের ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীকেও তিনি পাঠিয়েছেন। সার্বক্ষণিক তিনি সিলেটের খবর রাখছেন ও সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করার যা যা করণিয় তা করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এসময় সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলরবৃন্দ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গতকাল নগরের টুকেরবাজার এলাকার শাদীখাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি জানান, সিলেট বিভাগে ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসেবে অনেকে কিশোরগঞ্জের ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইনের অল-ওয়েদার সড়ককে দায়ী করছেন। ওই সড়কের কারণে পানি আটকে গেলে তা নামানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘মিঠামইনে যেটা হয়েছে, সেটার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নদীর পানি যাতে পাস করে সে ব্যবস্থা আমরা করব। এবারের বর্ষার সময় আমরা দেখব, পানি আটকে যায় কি না? যদি আটকে যায়, সেটার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

সিলেট নগরকে আগাম বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে।

তিনি বলেন, দেশের ৯টি স্থানে ড্রেজিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। নদী ভাঙন, পলিমাটি অপসারণে নিয়মিত নদী খনন করা হবে। নদীতে পলিথিন থাকার ফলে এর আগেও ড্রেজিং কাজ ব্যাহত হয়েছিল। এ জন্য পলিথিন ব্যবহারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সুরমা নদী পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট
Update Time : ০৫:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে সিলেট নগরীর ক্বীণ ব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে সিলেট—সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা কিভাবে সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসতে পারি সে লক্ষে আমরা আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে সুরমা নদীর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে বাকিটুকু খনন করা হবে। এছাড়াও সামগ্রীক ভাবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খনন করবো। সুনামগঞ্জের ছোট বড় ২০টি নদী আমরা খনন করবো। এ খনন কাজ করলে নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে আমি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছি। উজান থেকে যে পরিমাণ পানি আসে তার ধারন করার ক্ষমতা তৈরি করার জন্য যে সকল নদী ও খাল খনন করার দরকার সে বিষয়ে সিলেটের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যার খোঁজখবর রাখছেন। তিনি আমাকে সব সময় সজাগ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার আসার আগে এই সিলেটের ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীকেও তিনি পাঠিয়েছেন। সার্বক্ষণিক তিনি সিলেটের খবর রাখছেন ও সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করার যা যা করণিয় তা করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এসময় সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কাউন্সিলরবৃন্দ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গতকাল নগরের টুকেরবাজার এলাকার শাদীখাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি জানান, সিলেট বিভাগে ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসেবে অনেকে কিশোরগঞ্জের ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইনের অল-ওয়েদার সড়ককে দায়ী করছেন। ওই সড়কের কারণে পানি আটকে গেলে তা নামানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘মিঠামইনে যেটা হয়েছে, সেটার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নদীর পানি যাতে পাস করে সে ব্যবস্থা আমরা করব। এবারের বর্ষার সময় আমরা দেখব, পানি আটকে যায় কি না? যদি আটকে যায়, সেটার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

সিলেট নগরকে আগাম বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে।

তিনি বলেন, দেশের ৯টি স্থানে ড্রেজিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। নদী ভাঙন, পলিমাটি অপসারণে নিয়মিত নদী খনন করা হবে। নদীতে পলিথিন থাকার ফলে এর আগেও ড্রেজিং কাজ ব্যাহত হয়েছিল। এ জন্য পলিথিন ব্যবহারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।