ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুমকি সাংবাদিকদের রায় ছিঁড়ে ক্ষমতার দাপট দেখানো সেই জেলা জজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ঢাবিতে ধূমপানে জরিমানা, গাঁজা সেবনে বহিষ্কার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল আওয়ামীলীগ – মঈন খান সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ঘুমের মধ্যে মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা   ১ হাজার টাকা কমেছে স্বর্ণের দাম বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সুন্দরী নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না: ফয়জুল করিম ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ,আগুন

সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ১১:১৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৩১ Time View

সিটি ইউনিভার্সিটি। ছবি : সংগৃহীত

সিটি ইউনিভার্সিটির সব একাডেমিক কার্যক্রম মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে আগামী ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ইউনিভার্সিটির চারটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ,আগুন

সকালের দিকে সিটি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে যান ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।

সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অফিসের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে গেছে। ক্যান্টিনসহ বহু স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

সিটি ইউনিভার্সিটিতে রাতভর জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত ড্যাফোডিলের ২০-৩০ শিক্ষার্থী

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনিকভাবে সমাধান চাই, আপাতত মামলার পথে যেতে চাই না। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় সাত ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইউনিভার্সিটি এলাকা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত ১৫টি গাড়ি। ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনের কাচের জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুতু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে রাত ১২টার পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তাঁরা প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুরসহ লুট করে কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। পুড়িয়ে ফেলে তিনটি বাসসহ একটি প্রাইভেট কার। ভাঙচুর চালানো হয় আরও পাঁচ যানবাহনে। ভোররাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ফোটানো হয় ককটেল। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার একপর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ১১:১৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

সিটি ইউনিভার্সিটির সব একাডেমিক কার্যক্রম মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে আগামী ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ইউনিভার্সিটির চারটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ,আগুন

সকালের দিকে সিটি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে যান ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।

সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অফিসের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে গেছে। ক্যান্টিনসহ বহু স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

সিটি ইউনিভার্সিটিতে রাতভর জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত ড্যাফোডিলের ২০-৩০ শিক্ষার্থী

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনিকভাবে সমাধান চাই, আপাতত মামলার পথে যেতে চাই না। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় সাত ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইউনিভার্সিটি এলাকা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত ১৫টি গাড়ি। ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনের কাচের জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুতু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে রাত ১২টার পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তাঁরা প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুরসহ লুট করে কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। পুড়িয়ে ফেলে তিনটি বাসসহ একটি প্রাইভেট কার। ভাঙচুর চালানো হয় আরও পাঁচ যানবাহনে। ভোররাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ফোটানো হয় ককটেল। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার একপর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।