সিটিসেল ফেরা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, ফেসবুকে টাওয়ার বসানোর গুজব
- Update Time : ১২:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৩ Time View
প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (পিবিটিএল) প্রতিষ্ঠান সিটিসেল পের গ্রাহক সেবায় ফেরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে একের পর এক গুজব ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাওয়ার বসানো থেকে শুরু করে লাইসেন্স পাওয়া, এমনকি ফলো–শেয়ার করলে ফ্রি সিম–এসব দাবি করে নানা ধরনের ফটোকার্ডে ছড়ানো হচ্ছে তথ্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব পোস্ট দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হলেও এর কোনোটিই সত্য নয় বলে জানালেন প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান।
সম্প্রতি ফেসবুকের কয়েকটি গ্রুপ থেকে দেখা গেছে শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘সিটিসেল টাওয়ার বসানোর কাজ চলমান। জমিতে টাওয়ার বসাতে চাইলে আবেদন করতে পারবেন, সার্ভে চলছে।’ এর পরই তিনি আরও একটি পোস্টে দাবি করেন, ‘লাইসেন্স পেয়ে গেছে সিটিসেল। আগামী মাসেই বাজারে থাকবে। যেকোনো মোবাইলে চলবে সিম।’
শুধু তাই নয়, আরেকটি ভাইরাল ফটোকার্ডে দেখা যায়—‘কঠিন শক্তিশালী হয়ে ফিরছে সিটিসেল। একটি ফলো, একটি শেয়ার করলে, একটি সিম কার্ড ফ্রি।’ পাশাপাশি ২৫ পয়সা কলরেট ও মেয়াদবিহীন ডাটার কথাও প্রচার করা হচ্ছে আরেকটি পোস্টে।
এসব গুজবের বিপরীতে নিশাত আলি খান বলেন, এখনও সিটিসেলের ফেরার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়গুলো এখনো প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু ফেসবুকে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো সঠিক নয়। এগুলো কে বা কারা ছড়াচ্ছে, আমরা জানি না।
তিনি আরও বলেন, যদি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়, আমরা অবশ্যই সবাইকে জানাব। মিডিয়ার সঙ্গে লুকোচুরির কিছু নেই। বিশেষ কোনো অনুমোদন হলে আপনাদের মাধ্যমেই তা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিপুল বকেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি ২২৯ কোটি টাকা, রাজস্ব ভাগাভাগির ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বার্ষিক তরঙ্গ ফি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ৮ কোটি ৯২ লাখ লাখ, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ ১৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বকেয়ার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু পরে ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল। সে হিসাবে সিটিসেলের বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু কোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দেখা যায়, সিটিসেলকে ১০ মেগা হার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ। সে হিসাবে সিটিসেলের কাছে সরকারের সবশেষ মোট বকেয়ার পরিমাণ ১২৮ কোটি টাকা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়







































































































































































































