সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদল
- Update Time : ০১:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৪১ Time View
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামীর সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এবং ইবনে সিনা হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দিতে বিএনপির দাবির মধ্যে ইসির সঙ্গে এই বৈঠক করছে জামায়াত। সিইসি ছাড়াও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ বৈঠকে রয়েছেন। ২৩ অক্টোবর বিএনপির প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিষয়ে বৈঠক করে ‘বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ’ কর্মকর্তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কোনোভাবে যেন বিতর্কিতদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া না হয়।
এ বৈঠকে জানানো হয়- নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনাল তথা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলের কাছে চিহ্নিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যেমন- ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য, এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্যপদে তড়িঘড়ি করে দলীয় লোক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনী দায়িত্ব না দিতে বিএনপির দাবিকে ‘অযৌক্তিক ও অমূলক’ আখ্যা দেন। ২৬ অক্টোবর বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সেবামূলক ও অরাজনৈতিক এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে।’







































































































































































































