সালথায় শিক্ষককে থানায় নিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

- Update Time : ০৬:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
- / ২৮৬ Time View
এম,এ মুইদ হোসেন আরিফ: ফরিদপুরের সালথা থানায় এক শিক্ষককে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বকভাবে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আওলাদ ও স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে।
গত ২৯ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে এবং স্বাক্ষরকৃত স্ট্যাম্প উদ্ধারের দাবি জানিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন উপজেলার মাঝারদিয়া দাহিরুণ নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলার গোপালিয়া গ্রামের আব্দুল মালেক মোল্যার পুত্র।
ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার বিভাগদী গ্রামের আলতাফ মোল্যার পুত্র ও পুত্রবধুকে স্কুলে চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা নেয় পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবু জাফর। এই আবু জাফর শিক্ষক হিসেবে আমার পরিচিত। তিনি আমাকে একবার স্বাক্ষী রেখে বড় খারদিয়া এলাকার রবিউলের সাথে দেনদরবার করে কিছু টাকা দেয়। রবিউল আর জাফরের লেনদেনের পুরো বিষয়টি আমি জানিনা। হঠাৎ করে গত ২৯শে এপ্রিল বিকাল তিনটার দিকে আমার ব্যক্তিগত কাজে সালথা বাজারে গেলে আবু জাফর, কামরুল ও স্থানীয় এক সাংবাদিক সুকৌশলে আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে এসআই আওলাদের রুমে আটক করে। এ সময় এস আই আওলাদ হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে তুই টাকা নিছিস এই ৯ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আগামি ৯ তারিখের মধ্যে যদি না দিস তোর নামে মামলা দিয়ে তোর চাকুরী শেষ করে দিবো।
এক পর্যায়ে এস আই আওলাদ অন্যান্যদের যোগসাজসে একশত টাকার তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার নিকট থেকে স্বাক্ষর নেন। এছাড়া এ সময় আমার মৌখিক স্বীকারোক্তি ভিডিও রেকর্ডিংও করে রাখে। এই টাকা লেনদেনের সাথে আমি কখনই জড়িত না। আগামী ৯ই মে‘র মধ্যে টাকা না দিলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে আমার ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। আমি নিরুপায় হয়ে আমার স্বাক্ষরকৃত স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন দিয়েছি।এঘটনার আলোকে পশ্চিম বিভাগদী গ্রামের আলতাফ হোসেন মোল্যা আলাপচারিতায় বলেন, আমার ছেলে ও ছেলের বউয়ের চাকুরীর জন্য শিক্ষক জাফরকে আমি টাকা সংগ্রহ করে দেই। জাফর কাকে টাকা দিয়েছে তা আমি জানি না। চাকুরী হয়নি, জাফর টাকা ফেরত দিবে। আমি আনোয়ার নামে কাউকে চিনি না।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বাবার কাছ থেকে আমার ছোট ভাইকে অফিস সহায়ক পদে ও তার স্ত্রীকে আয়া পদে খারদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী দেওয়া কথা বলে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয় পরবর্তীতে ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। ইতিমধ্যে সে বাকী টাকা দিতে আজকাল করে ঘুরাইতে থাকে। সে থানায় এসে সেচ্ছায় এই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে।
এবিষয় সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আওলাদ বলেন, এটা সাংবাদিক সাইফুলের সাথে কথা বলেন তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। থানায় কাউকে ডেকে কি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়? থানায় আসেন সামনা সামনি কথা হবে।