সাব রেজিস্টার জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার

- Update Time : ০৩:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / ৭১ Time View
ময়মনসিংহ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনে গ্রাহকদের কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন সদর সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান। অপকর্ম এবং অবৈধভাবে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাব রেজিস্ট্রারকে বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ চক্র।
ময়মনসিংহ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস একসময় অনিয়ম-দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছিল। দুর্নীতি ও দালালদের নির্মূল করাসহ দফতরে সব ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান।
জাহিদ হাসান জানান, ময়মনসিংহের স্থানীয় কিছু পত্রিকা সাপ্তাহিক সুবর্ণা বাংলা,দৈনিক শাশ্বত বাংলা,দৈনিক আমার সংবাদ এবং অনলাইন পত্রিকা কাগজের আলো নামে পোর্টাল সহ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আমার নামে মিথ্যা, অবান্তর সংবাদ প্রচার করেছে।
সরকারিভাবে নিষিদ্ধ মৌজার জমি রেজিস্ট্রার হচ্ছে লেনদেন মাধ্যমে কতিপয় কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত হেডলাইনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন,নিউজ লেখা হয়। ২০২৪ সালের,২৫ নভেম্বর চর ভবানীপুর মৌজার ১৮০২৩ ও ১৮০২৪ নং দলিলের মাধ্যমে মো. দুলাল মিয়া ও ফারুক হোসেনের নামে জমি বিক্রি করেন সাজিদ আলী। এরপর চলতি বছরের ৩ মার্চ ৩৬৬৯ নম্বর দলিলে চর ভবানীপুর মৌজার ৫৩২৬ ও ৫৩৫২ দাগে ৬২ শতাংশ এবং গোবিন্দপুর মৌজার ১৪৮ ও ২৩৮ দাগে ৬৫ শতাংশ জমি আশরাফুল গংয়ের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয় এই সংবাদ মিথ্যেভাবে পরিবেশন করা হয়েছে ।
উল্লেখিত সংবাদের একোয়ার ভুক্ত জমির যে দাগ খতিয়ান উল্লেখ করা হয়েছে সে দাগ এবং খতিয়ান একোয়ারভুক্ত তালিকায় নেই তাই সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
ভবিষ্যতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগে আইন-আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিব।সেই সাথে উক্ত পত্রিকা গুলোর মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
দলিল লেখকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, “জাহিদ স্যার আসার পর থেকে আমরা অনেক শান্তিতে আছি। আমাদের ওপর এখন কোন জোর-জবরদস্তি, জুলুম নাই। এরআগেও অনেক অফিসার এসেছেন কিন্তু এইবার এই স্যারের নানা পদক্ষেপের কারণে ধীরে ধীরে দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে।ইচ্ছাকৃত ভাবে স্যারকে বেকায়দায় ফালানোর জন্য এই সব মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করানো হচ্ছে।