ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক বিজিবি সদস্যসহ ৫ জনের ওপর হামলা, ইস্যু জাতীয় নির্বাচন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ৩২ Time View

জাতীয় নির্বাচনে কাজ না করার জের ধরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরদিন বর্তমান এমপির সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের বাজার মহেশপুর এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন সাবেক এক বিজিবি সদস্যসহ ৫ পাঁচজন।

হামলায় আহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের বাজার মহেশপুর এর নোয়াব সরকারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলম সরকার (৬২), একই এলাকার রব্বান সরকারের ছেলে মানিক সরকার (৫৫), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমান(৫৫), মৃত আবদুল মজিদের ছেলে কবির হোসেন(৫০), কুসুম সরকারের ছেলে দেলোয়ার সরকার(৪৫)।

হামলায় আহত অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলম সরকার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নির্বাচন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মুরাদনগরের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছিল।

গত ২৯ শে মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর। এতে পরাজিত হন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সারোয়ার চিনু। এছাড়াও নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন টিউবয়েল প্রতীকের মো. শাহিন আর পরাজিত হন এডভোকেট মো ফয়সাল।

হামলার শিকার সবাই জাতীয় নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আহসানুল আলম সরকার কিশোর ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনের সমর্থন করায় এ হামলার চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সময় আহত এক সমর্থককে দেখতে যাই। সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল। সমর্থকের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের সমর্থক ও বর্তমান মেম্বার মো. আব্দুর রহিমের বাড়ির সামনে যখন আমরা যাই তখন আচমকা রহিম এর নেতৃত্বে লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের সবার হাতে দেশিয় অস্ত্র রামদা, টেটা, চাইনিজ কোরাল, বল্লমসহ আরো অস্ত্রসজ্জিত ছিল। তাদের এলোপাতাড়ি কোপ ও হামলায় আমাদের কারো হাত, পা ভেঙেছে কারো মাথা ফেটেছে। আহতরা প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গলে তাদের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে অবস্থার উন্নতির জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফারেন্স করে। বর্তমানে আহতরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রহিম মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে কোন যোগাযোগ করা যায়নি।

এবিষয়ে বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, আমি একটা মারামারির ঘটনা শুনেছি। একজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার ঘটনাটি জানি। তবে এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সাবেক বিজিবি সদস্যসহ ৫ জনের ওপর হামলা, ইস্যু জাতীয় নির্বাচন

Update Time : ১২:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনে কাজ না করার জের ধরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরদিন বর্তমান এমপির সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৩১ মে) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের বাজার মহেশপুর এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন সাবেক এক বিজিবি সদস্যসহ ৫ পাঁচজন।

হামলায় আহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের বাজার মহেশপুর এর নোয়াব সরকারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলম সরকার (৬২), একই এলাকার রব্বান সরকারের ছেলে মানিক সরকার (৫৫), মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমান(৫৫), মৃত আবদুল মজিদের ছেলে কবির হোসেন(৫০), কুসুম সরকারের ছেলে দেলোয়ার সরকার(৪৫)।

হামলায় আহত অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলম সরকার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নির্বাচন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মুরাদনগরের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছিল।

গত ২৯ শে মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর। এতে পরাজিত হন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গোলাম সারোয়ার চিনু। এছাড়াও নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন টিউবয়েল প্রতীকের মো. শাহিন আর পরাজিত হন এডভোকেট মো ফয়সাল।

হামলার শিকার সবাই জাতীয় নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আহসানুল আলম সরকার কিশোর ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনের সমর্থন করায় এ হামলার চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সময় আহত এক সমর্থককে দেখতে যাই। সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিল। সমর্থকের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের সমর্থক ও বর্তমান মেম্বার মো. আব্দুর রহিমের বাড়ির সামনে যখন আমরা যাই তখন আচমকা রহিম এর নেতৃত্বে লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের সবার হাতে দেশিয় অস্ত্র রামদা, টেটা, চাইনিজ কোরাল, বল্লমসহ আরো অস্ত্রসজ্জিত ছিল। তাদের এলোপাতাড়ি কোপ ও হামলায় আমাদের কারো হাত, পা ভেঙেছে কারো মাথা ফেটেছে। আহতরা প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গলে তাদের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে অবস্থার উন্নতির জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফারেন্স করে। বর্তমানে আহতরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রহিম মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে কোন যোগাযোগ করা যায়নি।

এবিষয়ে বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, আমি একটা মারামারির ঘটনা শুনেছি। একজন বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার ঘটনাটি জানি। তবে এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।