সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

- Update Time : ১২:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / ২৫ Time View
বিচারক হিসেবে ‘বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায়’ দেওয়া এবং ‘জাল রায়’ তৈরির অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে এ মামলায় খায়রুল হকের ১০ দিন রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানিতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত বছর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে’ রায় প্রদান এবং জাল রায় তৈরির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের মাধ্যমে দেশের সাংবিধানিক ভারসাম্য নষ্ট করেন।
তিনি প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলসহ একাধিক রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
তার বিচারিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণে সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা, এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি নিয়ে জারিকৃত আদেশগুলো ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত হয়।
উল্লেখ্য, খায়রুল হক ছিলেন দেশের ঊনবিংশতম প্রধান বিচারপতি। ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।
তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাত, বিতর্কিত রায় এবং সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।