সাবেক ডিবি প্রধান হারুন ও বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা

- Update Time : ০৯:০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ২৪৯ Time View
সাবেক ডিবি প্রধান হারুন ও বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০১১ সালে বিএনপির ডাকা হরতাল কর্মসূচি চলাকালে সংসদ ভবনের কাছে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন ফারুক। সে সময় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে করা মামলায় পুলিশের ৩০ জনের মতো সদস্যকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ এবং সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যার উদ্দেশে লাঠি এবং বুট দিয়ে মেরেছে পুলিশ। ঘটনার দিনই পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ফারুকের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করা হয়।

২০১১ সালের ৬ জুলাই তারিখে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বিএনপির ডাকা হরতাল কর্মসূচি চলাকালে সংসদ ভবনের কাছে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন। ভিডিও ফুটেজে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে তার ওপর মারপিট শুরু করতে দেখা যায় হারুন-অর-রশীদকে। সে সময় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
পরের দিনই সরকারি কাজে বাধাপ্রদানের অভিযোগে ফারুকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দেয় পুলিশ।

এই ঘটনায় দেশজুড়ে সেসময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতাকে পুলিশের এভাবে মারধরের ঘটনার নিন্দা জানান অনেকেই।
ওই ঘটনার পরেই হারুনকে লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপরে ২০১৩ সালে ‘ফারুককে পেটানোর’ জন্য হারুনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়।
এবিষয়ে ২০১৩ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছিলেন, “ওই বিশেষ ঘটনা বিবেচনায় তাকে (হারুন) পুরস্কৃত করা হয়েছে।”