সাবেক এমপি শম্ভুর ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের ডিম নিক্ষেপ, জামিন নামঞ্জুর

- Update Time : ০৯:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / ১৮ Time View
বরগুনা সদর থানার বিশেষ আইন, স্যাবোটাজ আইন ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক খাদ্য উপমন্ত্রী আ্যডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম মোঃ মনিরুজ্জামানের আদালতে তোলা হয়। আদালত শুনানি শেষে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জামিন না মঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শম্ভুকে আদালতে তোলার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘ভোট চোর’, ‘ভুয়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শম্ভুর গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আদালত এলাকায় নৌবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর আগে গত ২১ মে সাবেক ৫ বারের সংসদ সদস্যকে স্কট করে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারগার থেকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দীর্ঘ দিন গাঢাকা থাকার পর ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি টিম গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিউমার্কেট থানার আন্দোলন চলাকালে নিহত ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়াও আশুলিয়া থানার অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাবেক এই সংসদ সদস্যকে।
গত ৩০ এপ্রিল বরগুনায় ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয় আঃলীগ নেতা কর্মী সহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে।
মামলাটি বরগুনা জেলা বিএনপি’র প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় দায়ের করে।
মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি হত্যা মামলায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি বন্দিরত অবস্থায় ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) তাকে বরগুনা জেলা বিএনপি’র দায়েরকৃত মামলার দৃশ্যত গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়।
বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে বরগুনা কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বরগুনায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় ৩০ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রয়াত বিএনপি নেতা এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলায় শম্ভুকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা শম্ভুকে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে নিউমার্কেট থানায় ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় এবং আশুলিয়া থানার আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নুরুল আমিন বলেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তিনি একজন অপরাধী। জামিন না দেয়ার আবেদন করেছি এবং আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। তিনি আরও জানান, শম্ভুর বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ থাকলে সেটিও রাষ্ট্রপক্ষ তুলে ধরবে।