মামলা নিয়ে নানা প্রশ্ন, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
সাদা পাথর লুটপাটে ধরা পড়ছে না রাঘব বোয়ালরা

- Update Time : ০৬:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ১০০ Time View
সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট কাণ্ডে চিহ্নিতদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত ২০০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধরা পড়ছে না রাঘববোয়ালরা, সাধারণ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। নানা প্রশ্ন সাধারন জনগনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ন্যক্কারজনক এই লুটপাটে হাতেগোনা কয়েকজন প্রভাবশালী বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা জড়িত থাকলেও এজাহারে তাদের নাম না দিয়ে অজ্ঞাত দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তাদের অভিযোগ, প্রশাসন আইওয়াশ অভিযান চালাচ্ছে। প্রশ্ন তুলেছেন, তারা কার বা কাদের পাথর জব্দ করছেন। দূনীতি দমন কমিশন (দুদক), স্থানীয় প্রশাসনের কমর্কতা সহ আইন শৃংখলা বাহিনী বাদী হয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরূদ্ধে মামলা করা জরুরী বলে স্থানীয় জনগন মনে করেন।
তারা মনে করেন, উদ্বর্তন রাজনীতিক নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের কর্মকতা থেকে শুরু করে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়া না হলে সাদা পাথর ও জাফলং পর্যটন কেন্দ্র রক্ষা করা যাবে না।
এদিকে, সাদা পাথর থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডির মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলার একমাত্র সাক্ষী করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং বিভিন্ন টেলিভিশনের নিউজকে।এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো মৌলিক সাক্ষী না দিয়ে দালিলিক সাক্ষী দিয়ে এজাহার দায়ের করা কোনো ভাবেই যুক্তি সংগত না বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।পাশাপাশি পরিবেশবিদরা মনে করছেন পাথর ইস্যুতে এ ধরনের অযৌক্তিক কাজ পরবর্তীতে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করবে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১২ আগস্ট পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি হতে পাথর লুটপাটের ঘটনায় বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, বিভিন্ন টেলিভিশন নিউজকে সাক্ষী হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে যাওয়া এই পাথর লুটপাটের ঘটনায় সিলেটের জেলা/ উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি বিভিন্ন সময় অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এছাড়া এ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সও বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেছে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দায়িত্বশীলদের সাক্ষী না করে শুধুমাত্র গণমাধ্যমকে দালিলিক সাক্ষী করা এই মামলার দুর্বলতা হিসেবে গণ্য হবে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ আছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিগণ কর্তৃক গত ০৫ আগস্ট, ২০২৪ পরবর্তী সময়ে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি হতে অবৈধ/অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী পাথর লুটপাটে অজ্ঞাতনামা আনুমানিক ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি হতে পাথর লুট/চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড ধনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ৯৩(১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ড বিধি ১৮৬০ এর ৩৭৯ নং ধারা ও ৪৩১ নং ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, সরকারি নির্দেশনায় ও সরকারি স্বার্থে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ কোয়ারি হতে পাথর লুট/চুরির দায়ে দায়ী (অজ্ঞাত নামা) ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ ব্যাপারে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সিলেট-এর সদস্য সচিব আব্দুল করিম কিম জানান, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনকে মামলায় স্বাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করাকে স্বাগত জানাই কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এই লুটপাটের বিষয়ে কেন স্বাক্ষী করা হলো না? স্থানীয় প্রশাসনের সামনেইতো এই লুটপাট হয়েছে। তাই এ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের অবকাশ রয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পাথর ইস্যুতে দায়িত্বশীলদের খামখেয়ালিপনা থাকলে পরবর্তিতে তা মামলার গ্রহনযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শুধুমাত্র মিডিয়াকে সাক্ষী করা কোনোভাই যুক্তি সংগত না। শুধু দালিলিক, শুধু প্রচার মাধ্যম, শুধু গণমাধ্যম নিউজ সাক্ষী নয়। মৌলিক সাক্ষী হিসেবে স্থানীয় মানুষ দিতে হবে যারা এই লুটপাটের সাথে জড়িত নয়। এবং ওই এলাকায় প্রশাসনিক দায়িত্বে যারা আছেন তারা সাক্ষী হবেন। যেমন সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইউএনও, ওসি, ভূমি কর্মকর্তাকে সাক্ষী করতে হবে। এবং এই এজাহারকে সংশোধন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষী করে করা এই মামলা বিচারকের সামনে উপস্থাপন করলে মামলার ভিত্তি নষ্ট হবে। কারণ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ হলো দালিলিক সাক্ষী। একটি মামলার একমাত্র সাক্ষী শুধুমাত্র দালিলিক হতে পারে না। এক্ষেত্রে স্থানীয় এ সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের গুরুত্ব বেশি। এ মামলায় জেলা প্রশাসকও সাক্ষী হওয়া উচিত। তিনি বলেন, নিয়মে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এই মামলার আসামি হবে। কারণ এই খনিজ সম্পদ সংরক্ষণ করার দায়িত্ব তাদের। তারা সংরক্ষণ করে নাই এতে বুঝা যায় তারও এই লুটপাটের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জুন জানান, বর্তমান আইনে এই ধরনের মিডিয়া রিপোর্টকে সাক্ষী ধরা হয়। কিন্তু সাদা পাথরের লুটপাটের এই মামলাতে শুধুমাত্র মিডিয়া রিপোর্টকে বেইজ ধরা হয়েছে। কিন্তু এই মামলার মূল সাক্ষী করা উচিত ছিল বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় যারা এই পাথর তোলায় প্রতিবাদ করছেন তাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের। পাশাপাশি এই মৌখিক সাক্ষীদের দাবীকে সমর্থন করার জন্য মিডিয়া রিপোর্টকে সাপোর্ট সাক্ষী করা যেত। তাই শুধুমাত্র গণমাধ্যমকে সাক্ষী করা এই মামলার দুর্বলতা হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তদন্ত কমিটি গঠনঃ সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দোষীদের খুঁজতে যে তদন্ত কমিটি হয়েছে সেখানে রাখা হয়েছে লুট থামাতে ‘ব্যর্থ’ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। পরিবেশবাদীরা বলছেন, ইউএনও তদন্তে থাকলে মূল লুটেরারা চিহ্নিত হবে না। তাদের অভিযোগ, ইউএনও ও স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশেই হয়েছে এই লুট। এখন যা হচ্ছে তা লোক দেখানো।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই ভয়াবহ লুটপাটের শিকার হয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এবং এর পাশের ১০ একরের রেলওয়ে বাঙ্কার। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় শুরুর দিকে রাতে লুট হলেও সম্প্রতি দিনে-রাতে সব সময়ই হয়েছে। ফলে একেবারে পাথর শূন্য হয়ে পড়েছে সাদাপাথর পর্যটন এলাকা। আর খানাখন্দে পরিণত হয় রেলওয়ে বাঙ্কার।
স্থানীয়দের মতে, এই দুই স্থান থেকে কমপক্ষে দেড় কোটি ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকার বেশি। গত কয়েকদিন এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। তড়িঘড়ি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসেন সিংহ। দুই সদস্য হলেন-কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক। কমিটিকে সরেজমিন সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করে জড়িতদের চিহ্নিত করতে এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই কমিটি গঠনের পরই নানা সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে যে লুটপাট শুরু হয় তা থামাতে প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযান ছাড়া কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ইউএনও হিসাবে আজিজুন্নাহার যোগদান করেন এ বছরের ১৪ জানুয়ারি। এরপর অজানা কারণে সেই অভিযান আরও শিথিল হয়। এমন শিথিলতার কারণেই ধীরে ধীরে লুটপাটকারীরা তাদের লুটের মাত্রা আরও বাড়ায়। তাই যার অবহেলায় এমন লুটের ঘটনা তাকে দিয়ে তদন্ত করা হাস্যকর মনে করেন তারা। এ বিষয়ে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা সিলেটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার জানান, এই কমিটির মাধ্যমে জেলা প্রশাসন প্রমাণ করেছে লুটপাট কারীদের তারা চিহ্নিত করতে চায় না। শুধু লোক দেখানোর জন্য এই কমিটি। তা না হলে যিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এ ধরনের ভয়াবহ লুটপাট হয়েছে। তিনি এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকেই তদন্তের ভার দেওয়াটা জনগণের সঙ্গে তামাশা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কাশমীর রেজা জানান, এই তদন্ত কমিটি থেকে ভালো কিছু আশা করা যাবে না। যারা লুট করেছে তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় করেছে। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে দিনের পর দিন এমন লুটপাট সম্ভব হতো না। যদি যোগসাজশ থাকে তাহলে কি এই তদন্ত কমিটি যারা জড়িত তাদের সামনে আনবে।
এদিকে, শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসেন সিংহর কাছে জানতে চাওয়া হয় ইউএনও কমিটিতে থাকায় সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব কিনা।
তিনি বলেন, অবশ্যই সম্ভব। ইউএনও লুট ঠেকাতে বহু অভিযান করেছেন, অনেক মানুষকে সাজা দিয়েছেন। সেসব কাগজপত্র সংরক্ষিত আছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ইউএনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ জনান, প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাইকোর্টে রিটঃ সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করা হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ সংক্রান্ত রিটটি (বৃহস্পতিবার) উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রিট গ্রহন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।রিটে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদা পাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো।
জাফলং থেকে লুট হওয়া প্রায় ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধারঃ
সিলেটের জাফলং থেকে লুট হওয়া প্রায় ৭ হাজার ঘনফুট পাথর জৈন্তাপুরের আসামপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ৯)।
র্যাব -৯ জানায়, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলনের ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব-৯, সিপিএসসি সিলেটের টহল টিম, সাদা পোশাকের সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আসামপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এতে জাফলং থেকে লুট হওয়া বিপুল পাথরের মজুদ উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, উদ্ধার করা পাথর ট্রাকে করে নিয়ে জাফলং নদীতে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সংবাদ সম্মেলনঃ সিলেটের কোম্পানী গঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউসিয়নের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর আলমকে ২০২৪ সালের একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার সিলেট সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো.আলমগীর আলমের পুত্র রায়হান অহমদ এ অভিযোগ করেন। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সাদাপাথরে পাথর লুটপাটকারীরা খুব শক্তিশালী ও প্রভাবশালীদের চত্রছাযায় রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার না করে আমার নিরিহ নিরপরাধ বাবা জনগনের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মো.আলমগীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। যা মেনে নেয়া যায় না। আমার পিতা মো.আলমগীর আলমের মুক্তি চাই।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়