"কেয়ামত পর্যন্ত এই হত্যার বিচার দাবি করে যাব আমরা"
সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে বুধবার স্মারকলিপি দেবে ডিআরইউ

- Update Time : ০৫:২৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ২৬ Time View
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার দাবিতে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন।
সমাবেশে আবু সালেহ আকন বলেন, ‘এখানে আমরা যারা আছি, সবাই সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাই। আগামী নতুন কমিটিতে যারা আসবেন, তারাও আশা করি এই হত্যার বিচার চাইবেন। যারা আমাদের আন্দোলন সংগ্রামকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চেয়েছেন, পকেটে টাকা ভরেছেন, সরকারের টাকায় বিদেশে গিয়েছেন, আলিসানভাবে থেকেছেন; ইনশাল্লাহ তাদেরও বিচার করবে এই সাংবাদিক সমাজ।’
সমাবেশ থেকে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের কথা এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি, আগামী ২ মার্চ এই হত্যার প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে, আমরা সেদিন পর্যন্ত দেখবো। যদি ২ মার্চ এই হত্যার প্রতিবেদন দাখিল করা না হয়, তাহলে আমরা সংগ্রাম কমিটি গঠন করে রাস্তায় নামবো এবং জোরালোভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো। এছাড়া এই হত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।’
ডিআরইউ সভাপতি বলেন, ‘গত ১৩ বছরেও এই হত্যার বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার যে ফ্যাসিস্ট ছিল তার প্রমাণ হচ্ছে, এই হত্যার বিচারকে তারা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত ছিল। তার প্রমাণ হচ্ছে, আমরা এখনও খুনিদের নাম জানতে পারি নাই। সেই সময় শেষ হয়েছে, এখন আওয়ামী লীগ নেই। এখন বিপ্লবী সরকার ক্ষমতায়। আমরা তাদের কাছে আশা করছি, আমরা এই হত্যার বিচার পাবো। যদি না পাই আপনারা মনে রাখবেন, কেয়ামত পর্যন্ত এই হত্যার বিচার দাবি করে যাব আমরা।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। কবে নাগাদ মামলার তদন্ত শেষ হবে বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। থানা পুলিশ-ডিবি-র্যাবের হাত ঘুরে বর্তমানে মামলার তদন্তভার পেয়েছে পিবিআই। সবমিলিয়ে চার বার বদল হয়েছে তদন্ত সংস্থা। কিন্তু দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কুদরত-ই-খুদা, রাশেদ আহমেদ, স্থায়ী সদস্য গাজী আনোয়ার, ডিইউজে প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার প্রমুখ।