সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সরাসরি ৮ জন সম্পৃক্ত: জিএমপি কমিশনার

- Update Time : ০৩:২১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৮ Time View
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি ৮ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
কমিশনার নাজমুল করিম বলেন, ‘হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করার কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
কমিশনার নাজমুল করিম বলেন, ‘হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের অপকর্মের ভিডিও করার কারণেই তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
কমিশনার জানান, সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত ৮ জনের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—
প্রধান আসামি কেটু মিজান, যার নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, যিনি হানিট্র্যাপ কার্যক্রমে জড়িত। আল আমিন, যার নামে ২টি মামলা। স্বাধীন, যার নামে ২টি মামলা। শাহজালাল, যার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। ফয়সাল হাসান সাব্বির, যার বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া আরেক আসামি আরমান পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি, হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করেছি, সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে এবং অধিকাংশ প্রমাণ আমাদের হাতে। পিএম রিপোর্ট পেলেই যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট দিতে পারব বলে আশা করছি। ভিডিওগুলোও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
জিএমপি কমিশনারবলেন, ‘গাজীপুরকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলা হয়ে থাকে, তাই দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যও এখানে নানা অপকর্ম চালানো হচ্ছে।’
ফোর্সের সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন জিএমপি কমিশনার।