সাংবাদিক জহিরুলের উপর হামলার প্রতিবাদে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

- Update Time : ০৬:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৪৮ Time View
বাংলাভিশনের কলাপাড়া প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মিরনের উপর হামলার প্রতিবাদে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক মো. গোলাম রহমান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স সভাপতি, মোঃকামাল হোসেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. এটিএম মোজাম্মেল হক তপন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. শরীফ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) অ্যাড. মজিবুর রহমান টোটোন। পটুয়াখালী (বি.এন.এস.বি) চক্ষু হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন। জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বশির মৃধা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, মশিউর রহমান মিলন। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আসফাকুর রহমান বিপ্লব। পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজল বরন দাস। সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি সোহরাব হোসেন।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনের ওপর হামলাটি পরিকল্পিত এবং এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে হামলাকারীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার তুলাতলী এলাকায় নিজ বাসভবনের সামনে দুর্বৃত্তরা জহিরুল ইসলাম মিরনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। তার দুই হাত, মাথা ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় এবং সফল অস্ত্রপাচার হয়েছে।
এ ঘটনায় মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।