ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু ফ্যাসিস্টদেরকে আমরা আর ফেরত চাই না : মির্জা ফখরুল আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মিরপুরে আগুনে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার, তল্লাশি চলছে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি এক ক্লিকে আদালতের রায় সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে: আইন উপদেষ্টা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

মিডিয়া ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭৩৩ Time View

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এবং ডিআরইউ’র সদস্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানায় ডিআরইউ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল বৈঠকে বৃহস্পতিবার কতিপয় বহিরাগতদের হামলাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একদল ব্যক্তি নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নান মারুফ, সদস্য আসিফ শওকত কল্লোল, সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদসহ কয়েকজনকে নাজেহাল করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ।

ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে অনুষ্ঠান করার বিষয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে কতিপয় লোক গতকালই (বুধবার) ফেসবুকে হুমকি দিয়ে প্রচারণা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানাকে অবহিত করার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত হওয়ায় হঠাৎ করেই একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে। ডিআরইউ নেতারা এবং সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর পুলিশকে অবহিত করার পর তারা এসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।’

নেতারা বলেন, ‘ডিআরইউতে অনুষ্ঠান চলাকালে এ ধরনের ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের সময়ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সবার কথা বলার সুযোগ ছিল। গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তৎকালীন সরকারের বাধার মুখেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ, সারজিস ও হাসনাতরা এখানে কথা বলেছেন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউতে দল-মত-পথ নির্বিশেষে সবার কথা বলার সুযোগ ছিল। কখনও ডিআরইউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কারও হস্তক্ষেপ ছিল না। তাই আগামী দিনে কেউ এর ব্যতয় ঘটালে ডিআরইউ তা প্রতিহত করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

মিডিয়া ডেস্ক
Update Time : ১০:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এবং ডিআরইউ’র সদস্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানায় ডিআরইউ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল বৈঠকে বৃহস্পতিবার কতিপয় বহিরাগতদের হামলাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একদল ব্যক্তি নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মান্নান মারুফ, সদস্য আসিফ শওকত কল্লোল, সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদসহ কয়েকজনকে নাজেহাল করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ।

ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে অনুষ্ঠান করার বিষয়ে কোনও বিধিনিষেধ নেই। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে কতিপয় লোক গতকালই (বুধবার) ফেসবুকে হুমকি দিয়ে প্রচারণা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানাকে অবহিত করার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত হওয়ায় হঠাৎ করেই একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে। ডিআরইউ নেতারা এবং সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর পুলিশকে অবহিত করার পর তারা এসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।’

নেতারা বলেন, ‘ডিআরইউতে অনুষ্ঠান চলাকালে এ ধরনের ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের সময়ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সবার কথা বলার সুযোগ ছিল। গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তৎকালীন সরকারের বাধার মুখেও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ, সারজিস ও হাসনাতরা এখানে কথা বলেছেন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউতে দল-মত-পথ নির্বিশেষে সবার কথা বলার সুযোগ ছিল। কখনও ডিআরইউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কারও হস্তক্ষেপ ছিল না। তাই আগামী দিনে কেউ এর ব্যতয় ঘটালে ডিআরইউ তা প্রতিহত করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।