ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আনিসুল হক ও গোলাম সরোয়ারের বেপরোয়া লুটপাট-৪

সম্রাট শাহজাহানের চেয়েও বড় প্রেমিক ছিলেন আনিসুল হক

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ১২:০০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮৪ Time View

স্বৈরাচার হাসিনার আমলে দীর্ঘদিন আইন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে পরকীয়ায় আসক্ত এই ব্যক্তি শুধু টাকা কামিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, প্রেমের উজ্জ্বল নির্দশন স্বরূপ তিনি সম্রাট শাহজাহানকেও হার মানিয়েছেন। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর মমতাজের স্মরণে নির্মাণ করেছিলেন সপ্তম আশ্চর্য্যরে তাজমহল। আর বর্তমান প্রেমিক আনিসুল হক তার পরকীয়া প্রেমিকা তৌফিকা করিমকে খুশি করার জন্য জীবদ্দশায় বানিয়েছিলেন নিজের মালিকানাধীন সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

লম্পট বিতর্কিত এই সাবেক আইনমন্ত্রীকে যারা যেভাবে খুশি করিয়েছে তাদের ভাগ্যের চাকা রাতারাতি ঘুরে যায়। সারাদেশের ৬৫টি জেলার নিম্ন আদালতে পিওন থেকে শুরু করে মুদ্রাক্ষরিক, পেশকার, সেরেস্তাদার, জারিকারক, ঝাঁড়ুদার নিয়োগসহ অধঃস্তন আদালতে খেয়াল খুশিমত বিচারক নিয়োগ, বদলী, মামলা বাণিজ্য, রায় ও জামিন বাণিজ্যে ওপেন টেন্ডার, ভিন্নমতের নেতা-কর্মীদের ইচ্ছেমত হেনস্থাসহ নানা অপকর্মে সাবেক আইনমন্ত্রীর সাহায্যকারী সাবেক আইন সচিব গোলাম সরোয়ার, মন্ত্রীর পিএস দিনাজপুরের এম মাসুম, বান্ধবী মক্ষীরানী তৌফিকা করিমসহ অনেকের অতীত কর্মকান্ডের ফিরিস্তি ঘাটতে গিয়ে চোখ কপালে উঠে।

তৎকালীন পিডব্লিউডির স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের পিএস ছিলেন আলোচ্য এই মাসুম। ঐ সময়কার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাসুম আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার করে দেয়ায় মন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।

অতঃপর মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিবের পদটি বাগিয়ে নিয়ে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন। তার কথা ও আচরণে নিম্ন আদালতের বিচারকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। তার কথা না শুনলে নিম্ন আদালতের বিচারকদের হয়রানীমূলক বদলী করা হতো। মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বদলীর প্রস্তাব পাঠানো হতো সুপ্রীম কোর্টে।

আনিসুল হক ঐ পিএস মাসুমের উপর এতোটাই খুশি ছিল যে, সেই সময় মাসুম একদিকে আর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরেক দিকে। মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তার উপর মাসুমের প্রাধান্য ছিল অবিশ্বাস্য রূপকথার এক খলনায়কের মতো।

নওরোজ অনুসন্ধানে রেরিয়ে আসে শুধু সাব রেজিস্ট্রার বদলী করে সে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। ঐ সময় ঢাকার তেজগাঁও, গুলশানসহ হেভিওয়েট সাব রেজিস্ট্রার বদলীর জন্য দর ওঠে দেড় থেকে আড়াই কোটি টাকা। ঢাকার বাইরে কোন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কি পরিমাণ দলিল সম্পাদিত হতো তার উপর ভিত্তি করে সাব রেজিস্ট্রার বদলীর রেট ওঠানামা করতো। যা বর্তমান সময়ে চলছে বলে ওয়াকিবহাল মহল জানান।

এই মাসুমসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে হলে চোখ রাখুন দৈনিক নওরোজের পরবর্তী সিরিজে।

Please Share This Post in Your Social Media

আনিসুল হক ও গোলাম সরোয়ারের বেপরোয়া লুটপাট-৪

সম্রাট শাহজাহানের চেয়েও বড় প্রেমিক ছিলেন আনিসুল হক

আরিফুল হক নভেল
Update Time : ১২:০০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

স্বৈরাচার হাসিনার আমলে দীর্ঘদিন আইন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে পরকীয়ায় আসক্ত এই ব্যক্তি শুধু টাকা কামিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, প্রেমের উজ্জ্বল নির্দশন স্বরূপ তিনি সম্রাট শাহজাহানকেও হার মানিয়েছেন। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর মমতাজের স্মরণে নির্মাণ করেছিলেন সপ্তম আশ্চর্য্যরে তাজমহল। আর বর্তমান প্রেমিক আনিসুল হক তার পরকীয়া প্রেমিকা তৌফিকা করিমকে খুশি করার জন্য জীবদ্দশায় বানিয়েছিলেন নিজের মালিকানাধীন সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

লম্পট বিতর্কিত এই সাবেক আইনমন্ত্রীকে যারা যেভাবে খুশি করিয়েছে তাদের ভাগ্যের চাকা রাতারাতি ঘুরে যায়। সারাদেশের ৬৫টি জেলার নিম্ন আদালতে পিওন থেকে শুরু করে মুদ্রাক্ষরিক, পেশকার, সেরেস্তাদার, জারিকারক, ঝাঁড়ুদার নিয়োগসহ অধঃস্তন আদালতে খেয়াল খুশিমত বিচারক নিয়োগ, বদলী, মামলা বাণিজ্য, রায় ও জামিন বাণিজ্যে ওপেন টেন্ডার, ভিন্নমতের নেতা-কর্মীদের ইচ্ছেমত হেনস্থাসহ নানা অপকর্মে সাবেক আইনমন্ত্রীর সাহায্যকারী সাবেক আইন সচিব গোলাম সরোয়ার, মন্ত্রীর পিএস দিনাজপুরের এম মাসুম, বান্ধবী মক্ষীরানী তৌফিকা করিমসহ অনেকের অতীত কর্মকান্ডের ফিরিস্তি ঘাটতে গিয়ে চোখ কপালে উঠে।

তৎকালীন পিডব্লিউডির স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের পিএস ছিলেন আলোচ্য এই মাসুম। ঐ সময়কার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাসুম আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার করে দেয়ায় মন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।

অতঃপর মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিবের পদটি বাগিয়ে নিয়ে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেন। তার কথা ও আচরণে নিম্ন আদালতের বিচারকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। তার কথা না শুনলে নিম্ন আদালতের বিচারকদের হয়রানীমূলক বদলী করা হতো। মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বদলীর প্রস্তাব পাঠানো হতো সুপ্রীম কোর্টে।

আনিসুল হক ঐ পিএস মাসুমের উপর এতোটাই খুশি ছিল যে, সেই সময় মাসুম একদিকে আর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরেক দিকে। মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তার উপর মাসুমের প্রাধান্য ছিল অবিশ্বাস্য রূপকথার এক খলনায়কের মতো।

নওরোজ অনুসন্ধানে রেরিয়ে আসে শুধু সাব রেজিস্ট্রার বদলী করে সে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। ঐ সময় ঢাকার তেজগাঁও, গুলশানসহ হেভিওয়েট সাব রেজিস্ট্রার বদলীর জন্য দর ওঠে দেড় থেকে আড়াই কোটি টাকা। ঢাকার বাইরে কোন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কি পরিমাণ দলিল সম্পাদিত হতো তার উপর ভিত্তি করে সাব রেজিস্ট্রার বদলীর রেট ওঠানামা করতো। যা বর্তমান সময়ে চলছে বলে ওয়াকিবহাল মহল জানান।

এই মাসুমসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে হলে চোখ রাখুন দৈনিক নওরোজের পরবর্তী সিরিজে।