ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে সৌদি-আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:১৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ Time View

ছবি : সংগৃহীত

ওয়াশিংটনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সফরকে সফল অভিহিত করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভ্যর্থনা জানান। এটিকে ‘ভবিষ্যৎ বাদশাহ’র প্রতি বিশেষ সম্মান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটি যুবরাজের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়েছিলেন। তবে এই সফরে সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটানোর ইঙ্গিত মিলেছে।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সামরিক মহড়া, অশ্বারোহী বাহিনীর স্কর্ট এবং লালগালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাতে ছিল জমকালো নৈশভোজ, যেখানে ইলন মাস্ক, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, অ্যাপল সিইও টিম কুকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সৌদি আরব এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি, ভবিষ্যতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রতিশ্রুতি, বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা এবং নন-ন্যাটো প্রধান মিত্রের মর্যাদা পাওয়ার পথে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সফরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যুবরাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমর্থন পুনর্বহাল হওয়া। কার্নেগি মধ্যপ্রাচ্য কর্মসূচির বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু লেবার বলেন, এই সফর দেখিয়ে দিয়েছে, এমবিএস যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় অবস্থানেই থাকবেন।

ট্রাম্প রিয়াদ-তেল আবিব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে অগ্রগতি চান। যুবরাজ জানান, এটি সম্ভব—তবে আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে।

সৌদিতে এই সফর উচ্ছ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে অভ্যর্থনা ও বৈঠকের দৃশ্য ব্যাপক প্রচারিত হয়েছে। আরব নিউজের প্রধান সম্পাদক লিখেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আর শুধু তেল ও নিরাপত্তায় সীমাবদ্ধ নেই—পারমাণবিক সহযোগিতা, মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চ প্রযুক্তির নতুন কৌশলগত অধ্যায় শুরু হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে সৌদি-আমেরিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৪:১৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ওয়াশিংটনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সফরকে সফল অভিহিত করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভ্যর্থনা জানান। এটিকে ‘ভবিষ্যৎ বাদশাহ’র প্রতি বিশেষ সম্মান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটি যুবরাজের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়েছিলেন। তবে এই সফরে সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটানোর ইঙ্গিত মিলেছে।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সামরিক মহড়া, অশ্বারোহী বাহিনীর স্কর্ট এবং লালগালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাতে ছিল জমকালো নৈশভোজ, যেখানে ইলন মাস্ক, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, অ্যাপল সিইও টিম কুকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সৌদি আরব এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি, ভবিষ্যতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রতিশ্রুতি, বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা এবং নন-ন্যাটো প্রধান মিত্রের মর্যাদা পাওয়ার পথে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সফরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যুবরাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমর্থন পুনর্বহাল হওয়া। কার্নেগি মধ্যপ্রাচ্য কর্মসূচির বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু লেবার বলেন, এই সফর দেখিয়ে দিয়েছে, এমবিএস যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় অবস্থানেই থাকবেন।

ট্রাম্প রিয়াদ-তেল আবিব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে অগ্রগতি চান। যুবরাজ জানান, এটি সম্ভব—তবে আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে।

সৌদিতে এই সফর উচ্ছ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে অভ্যর্থনা ও বৈঠকের দৃশ্য ব্যাপক প্রচারিত হয়েছে। আরব নিউজের প্রধান সম্পাদক লিখেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আর শুধু তেল ও নিরাপত্তায় সীমাবদ্ধ নেই—পারমাণবিক সহযোগিতা, মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চ প্রযুক্তির নতুন কৌশলগত অধ্যায় শুরু হয়েছে।