ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

সবাই বাড়ির পাশে স্টেশন চায়: রেল উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৫৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৮৫ Time View

ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রুটে নতুন ট্রেন উদ্বোধন করেছেন রেল উপদেষ্টা ছবি : সংগৃহীত

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সবাই বাড়ির পাশে ট্রেন স্টেশন চায়। সবাই আশা করেন যে রেলগাড়িটি তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তারা এটাও চান যে দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবেন। এটা সম্ভব না।

তিনি বলেন, আপনি যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন যাতায়াতের সময় বাড়বে। আপনি অন্য একটা যানবাহনে রেলস্টেশনে যাবেন। এটা একটা সেকেন্ডারি ট্রান্সপোর্টেশন। যেখানে যাত্রী বেশি হবে, রাজস্ব বেশি পাওয়া যাবে, সেখানেই গাড়ি থামবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে নতুন দুই জোড়া ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন ট্রেনের মধ্যে ৮২৫/৮২৬ নং জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ঢাকা-খুলনা ও ৮২৭/৮২৮ নং রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচল করবে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন যে পদ্মা রেল সেতু সংযোগের মাধ্যমে খুলনা এবং ঢাকার মধ্যে একটা দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে।

রেলের নানান রকম সংকট আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই অসন্তোষ ব্যক্ত করে থাকেন, কিন্তু আপনাদের জানতে হবে রেল কেন আপনাদের প্রকৃত সুবিধা দিতে পারে না। আমাদের লোকোমেটিভের সংকট আছে, কোচের সংকট আছে, ওয়াগন ও লোকবলের সংকট আছে।

তিনি বলেন, রেলের আজ যে অবস্থা, এ অবস্থায় আসার একটি বড় কারণ হচ্ছে অপব্যয়। আমাদের যে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ভারত কিংবা আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা যত্রতত্র স্টেশন স্থাপন করেছি। যত্রতত্র রেললাইনের বিস্তার করা হয়েছে কিন্তু লোকোমোটিভ আছে কিনা, জনবল আছে কি না সেগুলোর ব্যবস্থা না করেই এগুলোর বিস্তার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, রেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য যারা কাজ করেন সবার প্রতি অনুরোধ জানাবো কীভাবে রেলের খরচ কমানো যায়। ব্যয় যদি কমানো যায় তাহলে রেল সেবার যে প্রত্যাশা সেটি আমরা পূরণ করতে পারবো।

এ সময় তিনি বলেন, নতুন যে ট্রেন চালু হলো এটা যেন সময়ানুবর্তিতা বজায় থাকে। ট্রেনে যেসব সুবিধা যেমন কোচগুলো যেন পরিষ্কার করা হয় এগুলো যেন ব্যবহারযোগ্য থাকে এবং যাত্রীসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য থাকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ রেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সবাই বাড়ির পাশে স্টেশন চায়: রেল উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ১২:৫৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সবাই বাড়ির পাশে ট্রেন স্টেশন চায়। সবাই আশা করেন যে রেলগাড়িটি তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তারা এটাও চান যে দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবেন। এটা সম্ভব না।

তিনি বলেন, আপনি যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন যাতায়াতের সময় বাড়বে। আপনি অন্য একটা যানবাহনে রেলস্টেশনে যাবেন। এটা একটা সেকেন্ডারি ট্রান্সপোর্টেশন। যেখানে যাত্রী বেশি হবে, রাজস্ব বেশি পাওয়া যাবে, সেখানেই গাড়ি থামবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে নতুন দুই জোড়া ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন ট্রেনের মধ্যে ৮২৫/৮২৬ নং জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ঢাকা-খুলনা ও ৮২৭/৮২৮ নং রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচল করবে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, আজ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন যে পদ্মা রেল সেতু সংযোগের মাধ্যমে খুলনা এবং ঢাকার মধ্যে একটা দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে।

রেলের নানান রকম সংকট আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই অসন্তোষ ব্যক্ত করে থাকেন, কিন্তু আপনাদের জানতে হবে রেল কেন আপনাদের প্রকৃত সুবিধা দিতে পারে না। আমাদের লোকোমেটিভের সংকট আছে, কোচের সংকট আছে, ওয়াগন ও লোকবলের সংকট আছে।

তিনি বলেন, রেলের আজ যে অবস্থা, এ অবস্থায় আসার একটি বড় কারণ হচ্ছে অপব্যয়। আমাদের যে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ভারত কিংবা আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা যত্রতত্র স্টেশন স্থাপন করেছি। যত্রতত্র রেললাইনের বিস্তার করা হয়েছে কিন্তু লোকোমোটিভ আছে কিনা, জনবল আছে কি না সেগুলোর ব্যবস্থা না করেই এগুলোর বিস্তার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, রেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য যারা কাজ করেন সবার প্রতি অনুরোধ জানাবো কীভাবে রেলের খরচ কমানো যায়। ব্যয় যদি কমানো যায় তাহলে রেল সেবার যে প্রত্যাশা সেটি আমরা পূরণ করতে পারবো।

এ সময় তিনি বলেন, নতুন যে ট্রেন চালু হলো এটা যেন সময়ানুবর্তিতা বজায় থাকে। ট্রেনে যেসব সুবিধা যেমন কোচগুলো যেন পরিষ্কার করা হয় এগুলো যেন ব্যবহারযোগ্য থাকে এবং যাত্রীসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য থাকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ রেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।